রাসেল আহমেদ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হয়েছে।
পবিত্র রমজান এবং ঈদের পর-পরই প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার এমন ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে সুবাধে তেরখাদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে নেমে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
ইতিমধ্যেই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে অন্তত ৯ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম মুখে-মুখে শোনা যাচ্ছে। আবার অনেকেই প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা দিয়ে মাঠ পর্যায়ে নিরবে নির্বাচনী প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক তুলে নেয়ায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে আওয়ামীলীগ ছাড়া এখন পর্যন্ত বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। প্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় গনসংযোগ, মতবিনিময় সভা-সমাবেশের মাধ্যমে জানান দিচ্ছেন তাদের নির্বাচন করার কথা। বিশেষ করে পছন্দের নেতাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেখতে চেয়ে তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, দোয়া চাইছেন।
অনুসারীদের এমন পোস্টের সাথে সংহতিও জানাচ্ছেন কেউ কেউ। মাঠ পর্যায়ের প্রচারণা কম দেখা গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। তবে ‘প্রেক্ষাপট’ কি দাঁড়ায় সেদিকে তাকিয়ে আছেন উপজেলা পরিষদের ভোটাররা।
এদিকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ এই নির্বাচনে কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে দলের যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। দলের নেতাকর্মীরা যাঁর যাঁর পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোটের কাজ করতে পারবেন। তবে দলীয় প্রতীক যদি উঠিয়ে দেয় তাহলে নির্বাচনী আমেজ ভিন্ন হওয়ার কথাও জানান নেতাকর্মীরা।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে সম্ভাব্য তালিকায় যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় যাদের নাম লোকমুখে শোনা যাচ্ছে এবং কিছু প্রচারণার কাজে রয়েছেন তাদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ সরফুদ্দিন বিশ^াস বাচ্চু, বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এফ এম অহিদুজ্জামান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ভাইচ চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা চম্পা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব আলী শেখ, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক কেদ্রীয় উপ কমিটির সাবেক সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ¦ আবুল হাসান মুসাল্লী, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শারাফাত হোসেন মুক্তি, আজগড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মল্লিক ও যুবলীগ নেতা মোঃ আলমগীর হোসেন। সম্ভাব্য এসকল প্রার্থীদের অনেকেরই দলীয় কর্মকান্ডসহ নানা তৎপরতার ছবি ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছেন তাদের কর্মী সমর্থকরা।
এখন ফেসবুক খুললেই শুধু ভেসে উঠছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে মনোনয়ন চাওয়ার আবেদন।
ফেসবুকে কার পোস্টে কতো বেশি শেয়ার লাইক কমেন্ট হচ্ছে, সে নিয়েও চলছে আলোচনা। ফেসবুকের পাতা যেন হয়ে উঠেছে মনোনয়নের বিকল্প মাঠ।
[…] […]