নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের অভয়নগর উপজেলার নুুরুজ্জামান বাবু হত্যার দায়ে মো. রাজ্জাক পাটোয়ারীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
১৫ মে (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় এ রায় দেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান। খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. মাজাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে খুলনায় স্ত্রী জোহরা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী নুরুন্নবী শেখকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন।
নুরুজ্জামান বাবু হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জুন রাতে নুরুজ্জামান বাবুকে তার বাড়ির পাশের আম বাগানে ডেকে কোমলপানীয়তে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর অচেতন করা হয়।
অচেতন অবস্থায় গামছা দিয়ে তার চোখ বেঁধে তাকে অভয়নগরের পুড়াখালী গ্রামের সরকারি বাওড়ের পাশে নিয়ে নাইলনের রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
পরে তার মরদেহ বাওড়ের কচুরিপনার নিচে লুকিয়ে রাখে। ঘটনার পরেরদিন ২ জুন বাবুর মোবাইল থেকে তার বাবার মোবাইলে কল করে অজ্ঞাতপরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ২ জুন অভয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। সেই সূত্রধরে পুলিশ আসামি মো. রাজ্জাক পাটোয়ারীকে আটক করে। আটকের পর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৪ জুন বাবুর মরদেহ বাওড়ের কচুরিপনা থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত নুরুজ্জামানের বাবা মো. ইমরান গাজী বাদী হয়ে ৪ জুন অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে এ মামলার রায় দেওয়া হলো।
অপরদিকে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বলেন, যৌতুকের দাবিতে ২০১১ সালে ২৫ আগস্ট রাতে খুলনা মহানগরের বেলায়েত হোসেন সড়কের বাসভবনে আসামি নুরুন্নবী তার স্ত্রী জোহরা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ এবং তার শিশুপুত্রকে ঘরের মধ্যে তালাবন্ধ করে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ২৭ আগস্ট খুলনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষী দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ ওই মামলায় রায়ে আসামি নুরুন্নবীকে মৃত্যুদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
[…] […]