এস, এম মাহবুবুর রহমান : খুলনা-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপি’র মানবিক কর্মকান্ড এখন মানুষের মুখে মুখে। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি ভোট চাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রূপসা উপজেলার নৈহাটী গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ আজিজুল ইসলাম বলেন আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। রাজনীতি বুঝিনা। তবে বিপদে-আপদে যে পাশে থাকে, এলাকার উন্নয়নে যে কাজ করে তাকে কিন্তু ভুলিনা। নির্বাচনে ভোটও আমরা সেই নেতাকে দেবো।
তিনি বলেন, রূপসা প্রেসক্লাবের সামনে থাকা আমার চা-পানের দোকানটা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলো। এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী খবর পেয়ে ছুটে এসে আমাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে সহায়তা করেছিলেন। এখন আমি দোকানদারি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো আছি। দোয়া করি উনি যেন আবারো এমপি নির্বাচিত হন।
নৈহাটী দক্ষিণপাড়ার অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদীর সাথে কারো তুলনা হয়না। কিছু দিন আগে আমি তাকে ফোন করি। উনি তখন বিমান বন্দর থেকে গাড়ীতে করে অফিসে ফিরছিলেন।
আমি আমার পরিচয় দিলে উনি বলেন আমি এখন ব্যস্ত রয়েছি দশ মিনিট পর ফোন করছি। উনার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। মনে মনে ভাবলাম হয়তো আমার মত সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলবেন না বলে এড়িয়ে গেছেন।
এর প্রায় ১৫ মিনিট পর এমপি সাহেব আমাকে ফোন দেন। মনটা আমার আনন্দে ভরে ওঠে। উনি ধৈর্য ধরে আমার কথা শোনেন। উনার মত দরদী নেতাকে আমরা আবারো এমপি হিসেবে পেতে চাই।
আমদাবাদ গ্রামের রজব আলীর স্ত্রী জামিলা বেগম বলেন, আমার দশ বছর বয়সী শিশু পুত্র ইব্রাহিম প্রাথমিকে লেখা পড়া অবস্থায় দৃষ্টি হারায়। অভাবি সংসারে ওর চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না।
স্থানীয় মেম্বর সোহেলের মাধ্যমে উনি আর মিসেস এমপি খবর পেয়ে আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য ২০হাজার টাকা দেন। আমার ছেলেটা এখন দেখতে পারে। এমপি সাহেবের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। উনার মত জনদরদী নেতাকে আমরা আবারো ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করবো।
তেরখাদা উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী রমিজ উদ্দীন ভুইয়া বলেন, ৩ বছর আগে সন্ত্রাসীরা আমার দু’টি পা কেটে ফেলে। আমার চিকিৎসা করাতে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর সবই দিয়েছেন এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী। এখন যে কৃত্রিম পায়ের ওপর ভর করে চলা ফেরা করছি। আল্লাহপাকের নিকট দোয়া করি উনি যেন আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করতে পারেন।
শুধু আজিজুল, অশোক দেবনাথ, জামিলা, রমিজ উদ্দীন নয়, এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে অনেকেই একইভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এমপি সালাম মূর্শেদীর নৌকা প্রতিকে ভোট চেয়েছেন।
এছাড়া এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী নিজস্ব অর্থায়নে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় বাবা-মা ও দুই বোন হারানো তেরখাদার মীমকে ঘর তৈরি করে দেন। দায়িত্ব নেন তার লেখা-পড়ার। রূপসার তালিমপুর গ্রামের অসহায় পরিবারের মেয়ে ভাবনার জরায়ু টিউমার অপারেশন, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নৈহাটী ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, শ্রীফলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে মোঃ ইবনে সামস পিয়ালের (২০) এর চিকিৎসার আর্থিক সহায়তা প্রদান, নৈহাটি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেখা আক্তারের কিডনি অপারেশনের খরচ প্রদান, দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের সুগন্ধী গ্রামের রাব্বু শেখ এর একমাত্র মেয়ে জান্নাতির টিউমার অপারেশনে আর্থিক সহায়তা প্রদান, সিএসএস নার্সিং ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত গরীব মেধাবী ছাত্রী নিবেদিতা মল্লিকাকে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান, নৈহাটি ইউনিয়নের ইলাইপুর গ্রামের শাহিদা বেগমকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, অসহায় স্কুল শিক্ষার্থীকে বাই সাইকেল প্রদান, ক্যান্সারে আক্রান্ত মনিকা ও অসুস্থ শিশুকে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান, রূপসার সেনের বাজার ফেরিঘাটের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেন।
এমপি সালাম মূর্শেদী নিজস্ব অর্থায়নে বেশ কয়েকটি দ্বায়গ্রস্ত পরিবারের কণ্যা সন্তানের বিয়ের যাবতীয় খরচ দিয়েছেন। এসব মানবিক কাজে পাশে থেকে সমান তালে সহায়তা করেছেন এমপির সহধর্মীনি এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান সারমিন সালাম।
এসব মানবিক সহায়তা ছাড়া তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য রূপসায় ১৬টি, তেরখাদা ১৪টি ও দিঘলিয়া ১০টি ঘর নির্মাণ, রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ, চর রূপসায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি পরিবারকে থ্রিপিচ, লুঙ্গি ও খাদ্য সামগ্রী প্রদানসহ প্রতি বছর শীতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার করে কম্বল বিতরণ করেন।
করোনাকালীন সময় তার ভুমিকা ছিলো চোখে পড়ার মত। সালাম মূর্শেদী সেবা সংঘ ও ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে উপজেলা হাসপাতালগুলিতে উন্নত বেড, আঞ্জুমান মফিদুলে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান, পর্যাপ্ত সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ ও নি¤œ মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা করেন।
Leave a Reply