এস, এম মাহবুবুর রহমান : রূপসা উপজেলার তিলক, পাথরঘাটা, শ্রীরামপুর ও নৈহাটি গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন কৃষকরা। গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষে ভালো ফলন পাওয়ায় আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্নে বিভোর তারা। পুরুষ কৃষকদের পাশাপাশি নারীরাও চাষাবাদে এগিয়ে এসেছেন এ উপজেলায়। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে টমেটোর ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জিকেবিএসপি প্রকল্প ও লাভজনক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও পিয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় টিএসবি ইউনিয়নের তিলক গ্রামে দেড় হেক্টর, পাথরঘাটা গ্রামে .০৫ হেক্টর, নৈহাটী উইনিয়নের ও শ্রীরামপুর ও নৈহাটি গ্রামে .০৫ হেক্টর এবং আইচগাতী ইউনিয়নে .২৫ হেক্টর ও ঘাটভোগ ইউনিয়নে .২৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন বারী হাইব্রিড-৮ জাতের টমেটো চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হলেও গেলো বছর এ উপজেলায় গ্রীস্মকালীন টমেটোর চাষ হয়েছিলো মাত্র .০৫ হেক্টর জমিতে। টমেটো চাষের সাথে জড়িত রয়েছে ৫০ জন কৃষক। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে জুন-জুলাই মাসে বীজতলায় চারা উৎপাদন করতে হয়। পরে পলিথিনের সেডের মধ্যে ওই চারা লাগিয়ে পরিচর্যা করতে হয়। চারা লাগানোর দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ফলন উৎপাদন শুরু হয়। একটানা তিন মাস পাওয়া যায় ফলন।
তিলক গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করেছেন কৃষক নিজাম উদ্দিন ভূইয়া তিনি বলেন, এবছর আমি ১০ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করেছি। চাষ করতে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। কৃষি অফিস হতে বীজ, সার ও আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০কেজি টমেটো জমি থেকে উঠিয়েছে। প্রতি কেজি পাইকারি ৭৫-৮০ দরে বিক্রি করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ১ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবো।
তিলক গ্রামের আরেক কৃষক আংগুরা বলেন, আমি এ বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করছি। টমেটোর ফলন খুব ভাল হয়েছে। বাজার মূল্য ভাল। আশাকরি ভাল লাভ হবে।
তিলক ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিমাদ্রী বিশ্বাস বলেন, কয়েক বছর আগেও এলাকার কৃষকেরা গ্রীষ্মকালে টমেটো চাষ করা যায়, তা জানতেন না। জিকেবিএসপি প্রকল্প ও লাভজনক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও পিয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে কৃষকদের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর চাষপদ্ধতি সহজ ও ফলন ভালো। দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে টমেটো চাষের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রথমবার এক ১০শতক জমিতে টমেটো চাষ করতে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে পরের বছর ব্যয় কমে যায়। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে ছাউনি ও বেড় তৈরি করতে হয়। সাধারণত শীতকালীন টমেটো চাষে এগুলো লাগে না। গাছে ফুল এলে দুই দিন পর পর হরমোন ছিটাতে হয়। তবে দ্বিতীয় বছর ছাউনি দেওয়ার জন্য বাঁশ কিনতে হয় না এবং বেড় কাটতে হয় না।
রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুজ্জামান বলেন, রূপসা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘেরের আইলে শীতকালে প্রচুর টমেটোর চাষ করে থাকে। কিন্তু সে সময় বাজারে টমেটোর দাম খুব থাকে। সে জন্য গতবছর প্রথমবারের মতো কৃষি অফিসের সহায়তায় গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করে কয়েকজন কৃষক সফলতার মুখ দেখেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হন।
গতবছরের সফলতার কারনে এ বছর কৃষি অফিসের সহায়তায় ৫০ জন কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ করেন। কৃষি অফিস হতে বীজ, সার ও অন্যান্য উপকরন বিতরণ করা হয়। ফলে এ বছর প্রায় ৩ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ হয়েছে। আগামীতে টমেটোর আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, কৃষি বিভাগ চাষিদের গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উৎপাদনের জন্য সকল ধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান চলমান রয়েছে।
Hi there, just became alert to your blog through Google, and found that it’s
really informative. I’m gonna watch out for brussels.
I’ll appreciate if you continue this in future.
Lots of people will be benefited from your writing.
Cheers!