নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি হাসপাতালগুলো নিয়ে অভিযোগের অন্ত থাকে না; যা আমরা প্রতিনিয়ত সংবাদমাধ্যমগুলোতে দেখতে পাই। তবে এত অভিযোগের মধ্যেও আলো দেখাচ্ছে একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বলছি খুলনার তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কথা। সেবা ও মানের দিক থেকে বোঝার উপায় নেই যে এটি কোনো সরকারি হাসপাতাল।
লোকবল সংকটের মধ্যেও শতভাগ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে সেবার মান। প্রতিদিনই আউট ডোর থেকে ৩ থেকে ৪ শতাধিক সাধারন মানুষ সরকারি এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে।
চিকিৎসক, নার্স সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীর সম্মিলিত ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় বদলে গেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার চিত্র। মানসম্মত চিকিৎসা সেবা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ পেয়ে সন্তুষ্ট আগত রোগীরা।
সম্প্রতি সময়ে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানামুখী সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় দিন দিন রুগির সংখ্যাও বাড়ছে। এখন হাসপাতালটিতে সার্বক্ষনিক ডাক্তারদের পাওয়া যাচ্ছে। ভর্তিকৃত রোগীদের খাবারের মানও বেড়েছে।
৫০ শয্যার জন্য জনবল না বাড়লে ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমানের দক্ষ নেতৃত্বে সেবার গুণগত মান বেড়েছে কয়েক গুণ। তার যোগদানের পর থেকে এ হাসপাতালে সার্বিকভাবে সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীদের আস্থা ফিরেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসেছেন উপজেলার কাটেংগা এলাকার সেলি বেগম। তিনি বলেন, হাসপাতাল এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। যে কোনো রোগ নিয়া আসলে ওষুধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া হাসপাতালে আগে ময়লা-আবর্জনা ছিল।
এখন সুন্দর পরিবেশ হইছে। ইখড়ি গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগে আমি হাসপাতালে খুব একটা আসতাম না। এখন সেবা ভালো দেওয়ায় কোনো দরকার হলেই হাসপাতালে আসি।
আমরা চাই হাসপাতালের মান আরো বাড়ুক। গরিব অসহায় মানুষেরা যাতে ভালো সেবা পায়। জয়সেনা গ্রামের পারভীন বলেন, আমি দুই দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। সরকারি হাসপাতাল হলেও মান ভালো। ঘণ্টায় ঘণ্টায় চিকিৎসকেরা দেখে যান।
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর আন্তরিকতায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামের গরীব সাধারনরা উপকৃত হচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৭৫ টি গুরুত্বপূর্ণ পদশুন্য রয়েছে।
তবুও সাধারন মানুষেরা পূর্বের সেবার চেয়ে বর্তমানে সেবা পাওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। তাদের দাবি আগামীতেও যেন এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকে। তাহলে ঘরে ঘরে উন্নত মানের স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার যে ভিসন রয়েছে বর্তমান সরকারের তা অনেকটাই সফলতার মুখ দেখবে বলে আশাবাদী সচেতন মহল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে খুনলা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর নিদের্শনায়, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সার্বিক সহযোগিতায় সহ সংশিষ্ট সকলের আন্তরিক তৎপরতায় হাসপাতালের চিকিৎসার মান বেড়েছে।
তিনি উপজেলাবাসির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করছেন।
স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তেরখাদা উপজেলার সাধারন মানুষ এখন সহজেই তাদের কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই পাচ্ছে।
[…] কর্মী-সমর্থকরা, ৪ জনকে কুপিয়ে জখম জনবল সংকটেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্র… রূপসায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা […]