বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : টাকা দিতে না পারায় মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেননি অধ্যাপক,সাংবাদিক এনায়েত আলী বিশ্বাস। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের এনায়েত আলী বিশ্বাস ৭১ এ বিএ পড়া কালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
সংগঠক হিসাবে এলাকার অনেককে ক্যাম্পে নিয়ে যান। নিজেও মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং গ্রহণ করেন সেই সাথে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। মেডিকেল টীমের সদস্য হিসেবে পাইকগাছার কপিলমুনি ও খুলনা রেডিও স্টেশন যুদ্ধে মেডিকেল টীমের সদস্য রূপে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
যুদ্ধশেষে বিএ পাশ করে এমএ পড়তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৩ সালে যান। ৭৫ সালে এমএ পাশ করে অধ্যাপনায় যোগদান করায় আর মুক্তিযোদ্ধা তালিকার জন্যে পাইকগাছায় যাওয়া হয়নি। বটিয়াঘাটা থেকে মুক্তিযোদ্ধা অন্তভূক্তির জন্য ১৯৯৪ সালে চেষ্টা করি এবং সূচকে নাম আসে।
কিন্তু ২০০৪ সালে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কালে যুদ্ধকালীন স্ব স্ব উপজেলায় যেতে হওয়ায় পাইকগাছা উপজেলায় যেতে হয়। পাইকগাছা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড যথারীতি যাচাই বাছাই করে। কিন্তু বাছাই সীটে ভুল করে বটিয়াঘাটায় তালিকাভূক্ত লেখায় গেজেট ভূক্ত হতে পারেন নি। টাকার অভাবে এ জটিলতা কাটানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তী ২০১৭ সালে দেশব্যপী যাচাই বাছাতে অনলাইন ভূক্ত হয়ে পাইকগাছা উপজেলা থেকে অংশ গ্রহণকরি।
বাছাই কমিটি বাছাই শেষে ক তালিকাভুক্ত করে । কিন্তু তার সত্বেও টাকার অভাবে গেজেটভূক্ত হতে পারেনি। ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নিকট আবেদন করেন।
এতে সংসদের সাবেক হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস,মুক্তিযুদ্ধ কালীন কমান্ডার সম বাবর আলী,কমান্ডার শেখ আফজাল হোসেন,পাইকগাছা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডারও যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ তার মুক্তিযোদ্ধার ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করলেও এখনও তিনি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেননি।
৭৭ এ পা দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা শেষ জীবনে অন্তত ভাতার দাবী না করে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির দাবীতে প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছেন।
Leave a Reply