নিজস্ব প্রতিবেদক : এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই খুলনার প্রায় শতবর্ষী কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ। স্কুল জীবন থেকে পাকিস্তান আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ, মুজিব বিরোধী, এরশাদ সর্বশেষ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনসহ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনের রাজনৈতিক কর্মি, নেতা এবং নেতাদের নেতা ছিলেন তিনি।
সর্বোপরি তিনি আমাদের পিতৃতুল্য অভিভাবক, খুলনা বিএনপি’র বটবৃক্ষ। তিন প্রজম্মের দাদু ভাই এম নুরুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবন প্রায় ৭ দশকের কাছাকাছি।
তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব, ভাষা সৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, খুলনা মহানগর বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিত্ব থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ সদস্য পর্যন্ত হয়েছেন এই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী কিংবদন্তীতূল্য নেতা।
মাওলানা ভাসানী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অতি আস্থাভাজন ছিলেন দাদু ভাই। আজকের তরুণ প্রজম্মের নেতা তারেক রহমান ও তাঁকে পিতৃসমতুল্য জ্ঞান করতেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সকল সংগ্রামের অগ্রসেনানী ছিলেন দাদু ভাই। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল, সাহস, ধৈর্য্য এবং ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতার একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীকার আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছিলেন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর কেডিএ এভিনিউ (তেঁতুলতলা মোড়) সোনাডাঙ্গা থানার বিএনপি’র কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য, মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সভাপতি, ভাষা সৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মরহুম এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের সভাপতিত্বকালে খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু কথাগুলো বলেন। বিএনপিকে আগামী দিনগুলোতে আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে সব দলমতকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্ত করা এবং জণগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার দাবিতে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে সকল নেতাকর্মিদের একসাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠনে বক্তরা আরও বলেন, দাদু ভাই নিজে যেমন দেখতেন তেমনি অন্যদেরও দেখিয়েছিলেন মানুষের শোষণ মুক্তির স্বপ্ন, জনতার ভাগ্য পরিবর্তনের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন আজীবন সংগ্রামী ! তাঁর মত কিংবদন্তীতুল্য নেতার মৃত্যুতে রাজনীতিতে যে স্থানটি শুন্য হলো তা পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
শুধু আক্ষরিক অর্থে নয় প্রকৃতপক্ষেই বড় এই মানুষটির প্রয়ানে আমরা অভিভাবক শুন্য হয়েছি। দাদু ভাই আমাদের শিখিয়েছেন রাজনীতি ভোগের নয়, ত্যাগের বিষয়। বর্তমানে জনমূখী রাজনীতির পরিবর্তে ব্যক্তিমূখী যে সর্বনাশা ধারা প্রচলনের উলম্ফন চলছে তা প্রতিরোধে দাদু ভাই’র মত সাহসী দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব আজ ভীষণ প্রয়োজন ছিল বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও তার কণিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য-দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
বিএনপি নেতা সিরাজুল হক নান্নুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে দোয়া করেন আলহাজ¦ মীর মোহাম্মাদ বাবু। বিশেষ অথিথির বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান দিপু। এসময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল জলিল খান কালাম, ভাষা সৈনিক বজলুর রহমান, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, এড. গোলাম মওলা, এস এম শাহজাহান, নিজাম উর রহমান লালু, ইশতিয়াক উদ্দিন লাভলু, শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, তরিকুল্লাহ খান, ইশহাক তালুকদার, কাজী মাহবুবুল হক, আকরাম হোসেন খোকন, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কামরান হাচান, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, রুহুল আমিন, মজিবর রহমান ফয়েজ, মোস্তফা কামাল, শরিফুল ইসলাম বাবু, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দিন টারজান, আব্দুল জব্বার, বাচ্চু মীর, তৌহিদুর রহমান খোকন, মিজানুর রহমান খোকন, মেহেদী হাসান সোহাগ, কাজী নজরুল ইসলাম, হেদায়েত হোসেন হেদু, আশরাফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম শুকুর, এড. মুজিবর রহমান, ওমর ফারুক, রিয়াজুর রহমান, খায়রুল ইসলাম লাল, আব্দুল জলিল হাওলাদার, নূরে আব্দুল্লাহ, হুমায়ুন কবির, হাবিবুর রহমান, বারেক হাওলাদার, জাকারিয়া লিটন, মিজানুজ্জামান তাজ, নাহিদ আল মামুন, এড. রফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, কাজী ফজলুল কবির টিটো, এড. ওমর ফারুক, মোস্তফা জামান মিন্টু, ইকবাল হোসেন, আল বেলাল, সুলতান মাহমুদ সুমন, শামীম আশরাফ, হাবিবুর রহমান কাজল, লিটু পাটোয়ারী, আরিফুর রহমান, গৌতম দে হারু, রাজিবুল আলম বাপ্পী, খান রাজিব, সাখাওয়াত হোসেন, সৈয়দ হুমায়ুন কবির, মাসুদ রেজা, সালাউদ্দিন সান্নু, সৈয়দ গাজী, ওহেদুজ্জামান, এস এম আলমগীর হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, গোলাম নবী ডালু, মুন্সি আব্দুর রব, শামীম খান, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মোল্লা সোলাইমান, আবু তালেব, শাকিল আহমেদ, ওহাব শরীফ, রুহুল আমিন রাসেল, ইয়াসিন আরাফাত সাগর, কবির বিশ^াস, তরিকুল ইসলাম, সজল আকন নাসির, মাসুদ রুমী, সোহাগ হোসেন, রাকিব ফেরদৌস, শাহনেওয়াজ, আরিফুর রহমান মন্টু, হুমায়ুন আজিজ ডাবলু, সাজ্জাদ আলী, পারভেজ মোড়ল, সেলিম বড় মিয়া, কাজী সেলিম, আব্দুল হাকিম, কবির হোসেন, এরশাদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, সিরাজুল ইসলাম, হাসমত হোসেন, শেখ রুহুল আমিন, গাজী নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম লিটন, শেখ ইউনুচ আলী, আনোয়ার হোসেন, মো. হারুন, মো. কামাল হোসেন, আনিসুর রহমান, কামরুজ্জামান নিরাজ, মারুফুর রহমান, সোহেল খন্দকার, হারুনার রশিদ, শামীম রেজা, জাফর হাওলাদার, সাজু আহমেদ, মিলন হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply