বিজ্ঞপ্তি : খুকৃবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা লঙ্ঘন, ১ বছর ধরে ঝুলে আছে শিক্ষকদের পদোন্নতি। নানা জটিলতায় স্থবির খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা যার ফলে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকদের পদোন্নতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) শিক্ষকগণ। এছাড়া বিভাগীয় প্রধানসহ প্রশাসনের সঙ্গে দায়িত্বরত শিক্ষকগণ পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে গত বছরের ৩ আগস্ট খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খানের পরিবারের ৯ সদস্যসহ ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরবর্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূনর্মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন প্রদানের দাবিতে গত ১৬ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষক সমিতির প্রায় সব শিক্ষক। গত ৯ নভেম্বর তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন।
এরই মধ্যে গত ৬ নভেম্বর প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খানের ছেলেমেয়েসহ ছয় স্বজনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া ত্রুটি থাকায় ২৪ শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে মেহেদী আলমের পদোন্নতি ও আশিকুল আলমকে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে ।
চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৬ জন স্বজন।
গত ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলমের বিষয়ে তদন্ত কমিটি এবং অপর শিক্ষক মেহেদী আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের শুধু একটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে সিন্ডিকেট।
এদিকে মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কোন কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে গত ১ বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা শিক্ষকগণের পর্যায়োন্নয়ন আরও দীর্ঘায়িত হবে।
শিক্ষকগণের আশংকা এই যে, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উক্ত নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নে কালক্ষেপন ও বৈষম্যে করা হচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দেয়া শর্ত পূরণ হচ্ছে না এবং শিক্ষকগণের পদোন্নতি সমস্যা সমাধানের কোন সম্ভাবনাও দেখছে না।
এদিকে দফায় দফায় আন্দোলনে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেশন জটে পড়ার তীব্র আশঙ্কার দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ব্যাচের স্নাতক শেষ সেমিস্টার চলমান এবং স্নাতকে বিলম্ব হওয়ায় তারা বিসিএসসহ চাকুরীর পরীক্ষায় আবেদন করতে পারছেনা।
করোনার কারনে একাডেমিক সেশন এক বছর পিছিয়ে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সময় কমানোর জন্য কোন পরিকল্পনাও নেয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এরুপ পরিস্থিতিতে হতাশাগ্রস্থ হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী।
[…] […]