বিশেষ ঘোষণা :
*নতুন সকাল ডটকম পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন *নতুন সকাল ডটকম পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন *নতুন সকাল ডটকম পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন *নতুন সকাল ডটকম পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন
সংবাদ শিরোনাম :
রূপসায় রুগ্ন গরু জবাইয়ে ব্যর্থ হয়ে সাংবাদিকের উপর চটলেন কসাই দুই মাছ কোম্পানি থেকে ৫৬০ কেজি চিংড়ি জব্দ, আড়াই লাখ টাকা জরিমানা মোংলা কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র, গুলি ও হরিণের মাংসসহ আটক-৩ বাগেরহাটে খানপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগ তালায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুব সমাজের ভূমিকা শীর্ষক যুব সংলাপ তালায় নাগরিক কমিটির মাসিক সভা খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতা মিকাঈলের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত রূপসা উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসারের সাথে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মত বিনিময় পুলিশের এডিসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা খুলনায় ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু
মোংলায় বন্দর সম্পত্তি শাখার উচ্চমান সহকারী বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি অভিযোগ

মোংলায় বন্দর সম্পত্তি শাখার উচ্চমান সহকারী বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি অভিযোগ

মোংলায় বন্দর সম্পত্তি শাখার উচ্চমান সহকারী বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি অভিযোগ

মোংলা প্রতিনিধি : মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি শাখার উচ্চমান সহকারী মোঃ আবু তাহেরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকেই নানা একের পর এক অভিযোগ আসছে বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে।

তিনি এই পদে বিধি বর্হিভূত পদোন্নতি নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। আবু তাহেরের বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগের ঘটনায় বন্দর কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে রিখিতভাবে দেয়া বিভিন্ন অভিযোগে জানা গেছে, মোঃ আবু তাহের চাকরির প্রথম অবস্থায় বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগে যোগদান করেন। এ বিভাগে চাকরি কালীন সময়ে তিনি কর্তৃপক্ষের লোহার পাইপ ও বিভিন্ন যন্ত্রংশ চুরি সংক্রান্ত ঘটনায় জড়িত থাকায় দোষী সাবস্ত হয়ে ২০১৬ সালের ১১ আগষ্ট বিভাগীয় শাস্তিপ্রাপ্ত হন।

পরবর্তিতে তিনি তথ্য গোপন রেখে উর্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নিরাপত্তা থেকে জুনিয়র আউটডোর পদে রহস্যজনকভাবে পদোন্নতি নেন। এরপর আবু তাহের ২০২২ সালের দিকে প্রভাব বিস্তার করে কৌশলে কতিপয় সিবিএ ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে জুনিয়র আউটডোর পদ থেকে উচ্চমান সহকারী পদে পুনরায় পদোন্নতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি শাখায় যোগদান করেন।

এদিকে আবু তাহেরের এ পদোন্নতিকে ঘিরে নানা অভিযোগ ও প্রশ্ন উঠেছে। সরকারী চাকরি বিধির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ওপর বিভাগীয় কোন দন্ড আরোপ করা হলে তিনি তার দন্ড ভোগের মেয়াদ শেষে লঘু দন্ডের ক্ষেত্রে এক বছর ও গুরু দন্ডের ক্ষেত্রে দুই বছর পদোন্নতির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না।

এ ক্ষেত্রে আবু তাহেরের দন্ড ভোগের মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের ১১ আগষ্ট থেকে ২০১৯ সালের ১০ আগষ্ট। রহস্যের বিষয় হচ্ছে দন্ড ভোগের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবু তাহেরকে নিরাপত্তা প্রহরী হতে জুনিয়র আউটডোর পদে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারী পদোন্নতি দেয়া হয়। যে পদোন্নতি নিয়ে এখন নানা প্রশ্ন ও রহস্য দেখা দিয়েছে।

অপরদিকে অভিযুক্ত মোঃ আবু তাহের কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি শাখায় উচ্চমান সহকারী হিসেবে যোগদান করেই উর্ধতন কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতাদের দোহাই দিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় জড়িয়ে পড়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, তিনি দাপ্তরিক অনুমতি ছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের জমি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর, বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান ও বসবাসের ঘর বাবদ নিয়মিত মাসিক মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে থাকেন। বন্দর ভবনের পূর্ব পাশের রেল লাইন সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা এর আগে উচ্ছেদ করা হলেও তিনি সম্পত্তি শাখার লোক পরিচয় দিয়ে পুনরায় সেখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরীর সুযোগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

বন্দরের সাইফ পোর্ট এর বিপরীত স্থানে কর্তৃপক্ষের আম বাগান থেকে চলতি মৌসুমে বিপুল পরিমান আমসহ কাঠান ও ডাব তিনি কালো বাজারে অহরহ বিক্রী করে অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হচ্ছেন। বন্দরের বিদ্যুতের লাইন সংলগ্ন গাছের ছোট ডালপালা কাটার নামে তিনি তার লোকদের দিয়ে বড় বড় ডাল কাটিয়ে অন্যত্র বিক্রী করে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

বন্দরের সাতটি ডাইক থেকে লোক দিয়ে বিপুল পরিমান বালু তিনি নিলেও কর্তৃপক্ষের তহবিলে জমা দিয়েছে সামান্য পরিমান বালুর টাকা। এ বালু বাণিজ্য করে তিনি লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। এ ছাড়া আবু তাহের বন্দর ভবনের আশপাশ, ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন, পাওয়ার হাউজ এলাকা, পিকনিক কর্ণারসহ বিভিন্ন এলাকায় জায়গা, স্থাপনা, পুকুর বরাদ্দ দিবে বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করে চলেছে।

ইতিপূর্বে আবু তাহেরের এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন জন অভিযোগ দিলেও কোন রহস্যজনক কারণে এসবের কোন প্রতিকার হয়নি বলে বন্দর চেয়ারম্যান বরাবর দাখিল করা বিভিন্ন অভিযোগে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবু তাহেরের বক্তব্য জানার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পদোন্নতি বিধি অনুয়ায়ী দেয়া হয়েছে বলে জানান। অন্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা। একটি পক্ষ আমাকে কর্তৃপক্ষের কাছে দোষারুপ করা জন্য এমন অভিযোগ দিয়েছে চেয়ারম্যানের কাছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, সম্পত্তি শাখার উচ্চমান সহকারী মোঃ আবু তাহেরের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গঠিত কমিটির তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে আবু তাহেরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

কোটা সংষ্কারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও রাস্তা অবরোধ বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *