মোংলা প্রতিনিধি : সৃষ্টির ৭২ বছর পর এই প্রথম মোংলা বন্দর দিয়ে বিদেশী ফল আপেল আমদানী শুরু করেছে ঢাকার ব্যাবসায়ীরা। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ফাকার অধিকাংশ ব্যাবসায়ীরা এখন মোংলা বন্দর দিয়ে ফল সহ বিভিন্ন পন্য আমদানী করছে।
এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন গার্মেন্টস পন্যও মোংলা বন্দর দিয়ে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে তা রপ্তানী করছে ব্যাবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার ৪০ ফিটের ২টি কন্টেইনার বোঝাই ৫১ মেট্রিক টন আমদানী করা আপেল ব্যাবসায়ীরা মোংলা বন্দরের চেয়াম্যানের হাত থেকে বুঝে নেয়। গত ১২ ডিসেম্বর লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এম. ভি মার্কস হাই ফং জাহাজে মেসার্স এশিয়ান ফুডটস (বিডি) লি: এই আপেল আমদানি করে।
মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপ সচিব মোঃ মাকরুজ্জামান এক প্রেস নোটের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, আমদানিকৃত হিমায়িত ফল খালাস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মোংলা বন্দর দিয়ে বিদেশী ফল আমদানীর শুভ সূচনা’র করেণ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজে উপস্থিত থেকে আমদানীকারক ব্যাসায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য হারবার ও মেরিন ক্যাপ্টেন মোঃ আসাদুজ্জামান, সদস্য প্রকৌশল ও উন্নয়ন ড. এ. কে. এম. আনিসুজ্জামান, পরিচালক ট্রাফিক কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মেহেদী ছাড়াও কাস্টমস’র বিভিন্ন কর্মকর্তা, আমদানিকার, বিএফএফআইএ-এর সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ বন্দরের অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন। আমদানিকারক কর্তৃক মোংলা কাস্টম হাউস, মোংলা বন্দর, উদ্ভিদ সংঘ নিরোধসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই এ কাজে সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে মোংলা বন্দরের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এশিয়ান ফ্রুডটস (বিডি) লি: এর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানায়, (বিএফএফআইএ) বিদেশ থেকে এই আপেল আমদানি করেছে। ১৯ ডিসেম্বর মোংলা কাস্টমস ও উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ অফিসের প্রতিনিধি ও ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিদেশী পণ্যে চালানটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ২১ ডিসেম্বর ফলের চালানটি মোংলা বন্দর থেকে ব্যাবসায়ীদের হেফাজতে নিয়ে নেয়।
উপ সচিব মোঃ মাকরুজ্জামান আরো জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের চাবিকাঠি স্বপ্নের ‘পদ্মা সেতু’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধনের পর মোংলা বন্দরের সাথে ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য জেলাগুলোর যোগাযোগ ব্যাবস্থা, ব্যাবসা-বানিজ্য তথা সার্বিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সুফল পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগে ফেরি থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির জন্য মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চাইতেন না।
এখন যেহেতু ঢাকা ও মোংলার মধ্যে কোনো ফেরি নাই, তাই পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় মোংলা বন্দর থেকে ঢাকার দুরত্ব মাত্র ১৭০ কিলোমিটার।
তাই মোংলা বন্দর দিয়ে সরাসরি পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেড়েছে অগের চেয়ে বেশী। স্বল্প সময়ে জাহাজ হ্যান্ডলিং, জেটি অভ্যন্তরে কন্টেইনার স্টাফিং সুবিধা, পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সুবিধা ও নিরাপদ বন্দর হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হচ্ছে মোংলা সমুদ্র বন্দর।
তাই এ মোংলা বন্দরকে বিশ্বের বানিজ্যিক বাজারে একটি সুন্দর পরিবেশ বান্ধব ব্যাবসায়ীদের লাভ জনক বন্দরে রুপান্তিত করার চেষ্টা করছে সরকার সহ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
[…] আনিসুর রহমানের পিতার ইন্তেকাল মোংলা বন্দর দিয়ে শুরু হলো বিদেশী ফল আম… খুলনায় নির্বাচন কমিশনারের সাথে […]