মেহেদী হাসান, রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা : রামপালে দুইটি মাদরাসায় শতভাগ পশসহ সাতটি মাদরাসার রেজাল্ট ভালো হলেও তিনটি কলেজে পাশের হার হতাশব্যঞ্জক।
মাদরাসা সাতটির পাশের হার প্রায় ৯৩ ভাগ হলেও কলেজ তিনটিতে পাশের হার প্রায় ৫৬ ভাগ। কারিগরি দুইটি শাখার পাশের হার সাড়ে ৮৮ ভাগ। দেশব্যাপী এবার এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৭৮.৬৪ ভাগ। সেই তুলনায় রামপালে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।
রামপাল উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে এবার রামপাল সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে জেনারেল শাখা থেকে ১৮৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৮৬ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১০২ জন। পাশের হার ৪৬ ভাগ। বিএম শাখায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১১০ জন। পাশ করেছে ৯৮ জন। অকৃতকার্য ১২ জন।
গিলাতলা আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১০৯ জন। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪৯ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৬০ জন। পাশের হার ৪৪ ভাগ।
সুন্দরবন মহিলা ডিগ্রী কলেজের ১২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৯৭ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩১ জন। পাশের হার ৭৫.৭৮ ভাগ। দেশব্যাপী ফল বিপর্যয় হলেও সুন্দরবন মহিলা কলেজর মেয়েরা অনেক ভালো রেজাল্ট করেছে।
উপজেলার ৭ টি মাদরাসার মধ্যে গোবিন্দপুর এজেএস ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসা থেকে ২৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২২ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন। পাশের হার ৮১.৪৮ ভাগ। ফয়লাহাট আছিয়া কারামতিয়া মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৮ জন। কৃতকার্য শতভাগ। এর মধ্যে ৪ জন জিপিএ ৫ পেয়ে উপজেলার সেরা হয়েছে।
শরাফপুর কারামতিয়া ডিগ্রী মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৩৭ জন। কৃতকার্য হয়েছে ৩১ জন। অকৃতকার্য ৬ জন। পাশের হার ৮৩.৭৮ ভাগ। ইসলামাদ সিদ্দিকীয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৮ জন। কৃতকার্য হয়েছে শতভাগ।
জিপিএ ৫ পেয়েছে একজন। সোনাতুনিয়া আজিজীয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৮ জন। কৃতকার্য হয়েছে ১৭ জন। অকৃতকার্য ১ জন। পাশের হার ৯৪.৮৮ ভাগ। খেজুর মহল আলীম মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৭ জন। কৃতকার্য হয়েছে ২৪ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩ জন। পাশের হার ৮৮.৭৯ ভাগ।
মল্লিকেরবেড় আলীম মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৪ জন। কৃতকার্য হয়েছে ২২ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন। পাশের হার ৯১.৬৭ ভাগ।
রামপালে সার্বিকভাবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের কৃতকার্যের হার অনেক বেশী। লেখাপড়ায় মেয়েরা বরাবরের মতো এগিয়ে থাকলেও ছেলেরা পিছিয়ে পড়েছে।
এর জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে মরণঘাতী মোবাইল ফোন ব্যবহার কে দুষছেন সচেতন মহল। মোবাইল ফোনের অনিরাপদ ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মেধা শেষ করছে বলে দাবী করেছেন তারা।
[…] […]