ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. আসাদ্দুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মু. আল-আমিন গোলদার এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালের কন্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার ট্রেজারার দৈনিক সংগ্রামের খুলনা ব্যুরো প্রধান আব্দুর রাজ্জাক রানা।
এতে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা এমরান হুসাইন, উপদেষ্টা মুন্সী মিজানুর রহমান ও মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, ছাত্রনেতা মো. রিয়াদুল ইসলাম বেলাল।
এ সময় বক্তৃতা করেন ফাউন্ডেশনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম, রূপসা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আসাদুজ্জামান, রূপসা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের ও সাধারণ সম্পাদক খান আব্দুল জব্বার শিবলী, দৈনিক সংগ্রামের ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মো. মঈন উদ্দিন, বটিয়াঘাটা সভাপতি মোহাব্বত আলি খান, কয়রা উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী, পাইকগাছা উপজেলা সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, জাহিদুর রহমান প্রমুখ। কুরআল তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল মান্নান। এ সময় সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী ও শহীদ সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
প্রধান অতিথি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময়ে হাজার হাজার মানুষ গুম-খুনসহ সাংবাদিক নির্যাতনের নিন্দা জানান। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করেন এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। তিনি সারা দেশে সরকারি গণমাধ্যমের নিয়োগে দীর্ঘ সূত্রিতা ও ফ্যাসিবাদের দোসর আওয়ামী দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন অফিসে কর্মরত থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি ও ইসলামী টিভি সহ ফ্যাসিবাদীরা মিডিয়া বন্ধ করে দিয়ে চরম স্বৈরাচারিতা দেখিয়েছিল। অবিলম্বে এ সব মিডিয়ার ক্সতিপুরণসহ চালু কররা দাবি জানান।
সাংবাদিক নেতা এইচ এম আলাউদ্দিন বলেন, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী ছিলেন নির্ভীক এবং নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ। তিনি সততা, বিশ্বস্ততা এবং বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন সাংবাদিক সমাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বাধিক এবং সর্বমহলে। তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী ছিলেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক। গত ১৭ বছর আওয়ামী দুঃশাসনের নির্যাতনের যাতাকলে নিস্পষিত হয়েছেন তিনি। তিনি ১৯ মাস কারাভোগ করেছেন।
আপোষহীন এই সাংবাদিক নেতা আজীবন সংগ্রাম করে দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশের জীবন দিয়েছেন।
সাংবাদিক নেতা আব্দুর রাজ্জাক রানা বরেন, রুহুল আমিন গাজী বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক হিসেবেই নন, বরং যোগ্য নেতা হিসেবেও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তিনি দেশের গণমাধ্যমে সাহসী ভূমিকা এবং সাংবাদিকতা পেশায় অনন্য অবদান রেখেছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার রক্ষার জন্য সবসময় কাজ করেছেন। তার দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সংবাদ প্রকাশ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে সবসময় কথা বলেছেন।
Leave a Reply