রূপসায় মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ
- আপডেট :
সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক : রূপসায় দির্ঘ দিন ধরে অসুস্থ, রুগ্ন ও মরা গরু জবাই করে মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ১৮ মার্চ সোমবার দিনভর পূর্ব রূপসা বাজারের দু’টি মাংসের দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হয়েছে মরা গরুর মাংস। এনিয়ে অন্যান্য মাংস ব্যবসায়ীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বাজারের মাংস ব্যবসায়ীসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার খারাবাদের এনা নামক এক ব্যক্তির নিকট থেকে মরা গরুর জবাই করা মাংস ক্রয় করে রূপসার মাংস বিক্রেতা রেজাউল। মাছের কাটা ড্রামে করে ওই মাংস আনার পথে জাবুসা পৌঁছালে তারা বাধার মুখে পড়ে জেলা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী একটি সংস্থার।
পরে তাদের সাথে মোটা অংকের রফাদফায় বাধামুক্ত হয় কসাই রেজাউল। এদিকে রাতেই এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রূপসা থানা পুলিশের একটি টিম ও কয়েকজন সাংবাদিক হন্যে হয়ে খুঁজেও ওই চক্রের সন্ধান মেলাতে ব্যার্থ হয়। তবে রাতে তাদের সন্ধান না মিললেও ১৮ মার্চ সকাল থেকে রেজাউল ও জাকিরের দোকান ও পার্টনার কেরামত আলী মীরের দোকানে বিক্রি করা হয় মরা গরুর মাংস।
মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, ১৮ মার্চ ভোরে পূর্ব রূপসা কিলখানায় দুইটি গরু জবাই করা হয়। এরমধ্যে একটি গাইগরু জবাই করেন বাগমারা প্রামের মাংস ব্যবসায়ী জসিম। তিনি তার জবাই করা গরুর মাংস বিক্রি করেন নিজের দোকানে। অপর একটি বকনা গরু জবাই করেন মাংস ব্যবসায়ী বাবু।
তিনি তার জবাই করা বকনা গরুর মাংসের কিছু অংশ রামনগরের ব্যবসায়ী রবিউলের নিকট বিক্রি করেন। বাকী অংশ সে নিজের দোকানে বিক্রি করেন। এছাড়া ওই বাজারের অপর ব্যবসায়ী কবির ও অসিকার খুলনা থেকে এড়ে গরুর মাংস পাইকারী মূল্যে ক্রয় করে এনে বিক্রি করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ মাংস বিক্রির জন্য গরু জবাইয়ের আগে ওই গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও রূপসায় এর বালাই নেই। এসব কাজের দায়িত্বে উপজেলায় একজন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর থাকলেও তার কোন কার্যক্রম কখনো সাধারণ মানুষের চোখে পড়েনি। একারণে প্রতিনিয়ত এই বাজারের কতিপয় অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা অসুস্থ ও রুগ্ন গরু জবাই করে বিক্রি করছে। সুযোগ পেলে মরা গরুর মাংস বিক্রি করতেও ছাড়ছেনা। এতে রূপসার সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।
মরা গরু জবাইয়ের ব্যাপারে ১৭ মার্চ রাতে মাংস বিক্রেতা রেজাউলের মোবাইলে একাধীকবার কল দিলেও সে কল রিসিভ করেনি।
সংবাদটি শেয়ার করুন
[…] […]