শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : শৈলকুপা সাব-রেজিষ্টার ইয়াসমিন শিকদার,মৌরিসহ ১৯জনের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রি জালিয়াতি পিটিশন সিআর মামলা ৫৫৫/২২ সিআইডি পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক ইউছুফ হোসেন আসামীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সর্ম্পূন উদ্দেশ্য মূলক ভাবে অনিয়মের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন মিথ্যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত মনগড়া অসত্য প্রতিবেদন দাখিলের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজী অতঃপর সঠিক, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ পিবিআইকে নির্দেশ দিলেন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, শৈলকুপা, ঝিনাইদহের বিচারক।
সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদার, দলিল লেখক বাবুল আক্তার,সেবানুর মজনু কুষ্টিয়া জেলা রেজিস্ট্রারের
কার্য্যালয়ের প্রধান সহকারী বেষ্টপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন বাবুল এবং প্রধান জালিয়াতকারি হাটফাজিলপুর গ্রামের ভুমিদস্যু ফরিদুল ইসলাম ভুন্ডুলে, সাজ্জাদুল ইসলাম মামুন,মেহেদী হাসান নোমান, শাহিনুল ইসলাম সোহান মিয়া, মীর মাহাবুবুল ইসলাম জুয়েল, খোকন সরদার, লুৎফর রহমান শাহ, আক্কাচ আলী শাহসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে দলিল জাল-জালিয়াতির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।যাহার মামলা নং ৫৫৫/২২,তারিখঃ ২৮/০৪/২০২৪, ধারাঃ ৪২০/৪৬৩/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/ ৫০৬(২)পেনাল কোড।
মামলা বাদী ঝিনাইদহ সাংবাদিক ইউনিয়ন(জেইউজে)এর সভাপতি শামীমুল ইসলাম শামীম জানান, শৈলকুপা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ঘুষ লেনদেনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী জালিয়াত চক্র ও কর্মচারী-দালাল সিন্ডিকেট। ব্যাপক ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে অফিসের অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসকে অপ্রতিরোধ্য স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে। র্দীঘবছর ধরে জমি রেজিষ্ট্রির সকল প্রকার জালিয়াতির কাজসহ দলিল রেজিষ্ট্রি জালিয়াতি, ভূয়াপর্চা তৈরি, স্বত্তের থেকে অতিরিক্ত জমি রেজিস্ট্রি, নামপত্তনের খারিজ খতিয়ান জালিয়াতি, দলিলের বালাম বই থেকে পাতা ছেড়া, দলিল প্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায়, টেম্পারিং ও জাল করাসহ কৌশলে প্রতারণা মুলকভাবে দলিল রেজিষ্ট্রি জালিয়াতি করায় ভূক্তভুগি ঝিনাইদহ আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।
সাব-রেজিষ্ট্রার, দলিল লেখক, গ্রহীতা, দাতা,স্বনাক্তকারিদের যোগসাজশে ব্যাপক জাল-জালিয়াতি ঘুষ-বানিজ্যের মাধ্যমে দলিল গ্রহীতাগণ অন্যেও জমির মালিক হওয়ার উদ্দেশ্যে জাল দলিল তৈরির মাধ্যমে মালিকানার অতিরিক্ত জমির দলিল সম্পাদন,মালিকানার অতিরিক্ত জমি রেজিস্ট্রি কওে নেওয়া হয়েছে।
জাল দলিলের দাতাগণ হস্তান্তরকৃত দলিল সম্পাদনে দাতা হিসেবে লাভবান হয়েছে এবং রেজিস্ট্রিকৃত জমিতে মালিকানা ও দখল না থাকা সত্তেও নিজেদেরকে ওই জমির মালিক হিসেবে উপস্থাপন করে আসামীরা একজোট হয়ে জাল দলিল সম্পাদন করেন।দাতা-গ্রহীতাদের বৈধ্য কাগজপত্র না থাকার পরও গ্রহীতাগণ অন্যের জমি মালিক হবার মানসে অতিরিক্ত জমি লিখে নেওয়া,জাল দলিল তৈরি রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করে।
কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার অব্যবহার এবং অপরাধমূলক অসদাচরণ জনিত অপরাধ সংগঠিত করে জমি রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয়ে থাকে শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এই জালিয়াতি সিন্ডিকেট। জালিয়াতি দলিল নং ৬০৪০/২১,দলিল নং-৬৩০৫/১১, দলিল নং-২০৭১/১৪, দলিল নং ১৭৫০/১০,দলিল নং-৬৮৪০/৬৮, দলিল নং ৩০৭১/২০০১, দলিল নং ১৫৯/২০০১,দলিল নং৫৬৮৬/২০০০, দলিল নং ৩৫৫৭/২০০০, দলিল নং ৫৬৮৫/০৯ এবং দলিল নং ৫৬৮৬/০৯।
এছাড়াও ভূমিদস্যু ফরিদুল ইসলাম ভুন্ডুলে দাতা হয়ে তার প্রাপ্ত সমূদয় সম্পত্তি গ্রহীতা রেজাউল ইসলামের নিকট কবলা দলিল নং ১১৩৯/৮১,রেজিষ্ট্রি তারিখঃ ২০/০১/১৯৮১ দলিলে বিক্রয় করার পরও উক্ত গ্রহীতা ব্যতিরেখে জালিয়াতির আশ্রয়ে জমি বিক্রয় করেছে। ব্যাপক ঘুষ-বানিজ্যের মাধ্যমে ১৮ নং আসামী লুৎফর শাহ ,১৯নং আসামী আক্কাচ শাহ এবং ১৭নং আসামী মোঃ ইব্রাহিম হোসেন ওরফে বাবুল পিতা: মৃত আব্দুল করিম মোল্লা,সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা,যশোর ডি.আর অফিস যশোর।
সাং: বেষ্টপুর(বিষœপুর)বিএলকে,থানা: শৈলকুপা, জেলা: ঝিনাইদহ।বর্তমান কর্মরতঃ প্রধান সহকারী,জেলা রেজিস্ট্রারের কার্য্যালয় কুষ্টিয়াগন উক্ত ১১৩৯/৮১ নং দলিলটি যশোর ডি.আর অফিস থেকে বালাম বইয়ের পাতা ছিড়ে ফেলা হয়েছে । উক্ত দুস্কর্মে সংঘটনে সহায়তা করেছেন।দলিল গ্রহীতাগন+দলিল দাতাগন+দলিল লেখক+সাব-রেজিষ্ট্রার,দলিলে সনাক্তকারি এবং স্বাক্ষীদের যোগসাজশে ব্যাপক ঘুষ-বানিজ্যের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার অব্যবহার এবং অপরাধমূলক অসদাচরণ জনিত অপরাধ সংগঠিত করে জমি রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয়।
এ ছাড়াও বিগত শৈলকুপার সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে যশোর দুনীতি দমন কমিশন শৈলকুপা থানায় দলিল জালিয়াতির ঘটনায় দলিল নং ৫৬৮৫/০৯ এবং দলিল নং ৫৬৮৬/০৯ নিয়ে তদন্ত পুর্বক মামলা করেন,যাহার মামলা নং ০৬/২৬০, তারিখ ১০/১১/২০১৪।
উল্লেখঃ১নং আসামী ফরিদুল ইসলাম ভুন্ডুলের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে, দন্ডবিধি ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন হাটফাজিলপুর গ্রামের সাবেক ম্বেবর রবিউল ইসলাম জোয়ার্দ্দার । যাহার মামলা নং শৈল,সি,আর, ১০৩/১২।
মামলার বাদী ঝিনাইদহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শামীমুল ইসলাম শামীম বলেন, বর্ণিত দলিলের জমি আমি ও আমার কন্যা, পুত্র’র জমি হওয়া স্বত্তেও আসামীরা অবৈধ উপায়ে অসদাচরণ সংগঠন করে জমির পর্চা টেম্পারিং করে,পর্চার নাম পরিবর্তন করে, সংশ্লিষ্ট জমিতে তাদের মালিকানা না থাকলেও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারনা মূলক ভাবে, নিজেরা ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এবং আমাকে গুরুত্বর ক্ষতি গ্রহস্থ করবার উদ্দেশ্যে এবং আমার নিজের স্বত্বাধীন সম্পত্তি থেকে বেদখল করার উদ্দেশে নিজেরা মালিক সেজে গত দলিল নং ৬০৪০/২১ সাল, রেজিষ্ট্রি তারিখঃ ৩১/১০/২০২১, জমির পরিমান ২৯.৫০ শতক জমি আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ উপায়ে অসদাচরণ সংগঠন করে প্রতারনামূলকভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্য কম জানা স্বত্তেও অতিরিক্ত জমি রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা হয়েছে।এর ফলে সাব-রেজিষ্ট্রার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে,বিভাগীয় তদন্তের দাবী ,অনুসন্ধানে মাধ্যমে সব বেরিয়ে আসবে।
আসামীগনের যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি প্রস্তুতের মাধ্যমে যে সকল দলিল রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে তারফলে আমার সম্পত্তির মালিকানা আমার নিকট থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দলিল অংশ ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করা হয়েছে।যাহার ফলে অবৈধ্য অধিকার তৈরি হওয়ায় আমার অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে এবং আমি আমার বৈধ্য অধিকার হইতে বঞ্চিত হয়েছি। জালিয়াতকারি আসামীদের বিরুদ্ধে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা হলে শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল জালিয়াতি দুরকরা সম্ভব হবে।
Leave a Reply