রাসেল আহমেদ, কালিয়া থেকে ফিরে : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতে দোড় গোড়ায় টোকা দিচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে, চায়ের দোকান কিংবা বিভিন্ন আড্ডাখানায় শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীতা বাছাই নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা।

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও উপজেলার বড়নাল গ্রামের কৃতিসন্তান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এনএসআই কর্মকর্তা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক মাঝহারুল ইসলামের নামই আলোচনায় শীর্ষে আছেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে উপজেলার সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তিনি। স্থানীয় বিজ্ঞ জনেরা মনে করছেন, মল্লিক মাঝহারুল ইসলাম একজন উদীয়মান সাহসী, ত্যাগী, সৎ, নিষ্ঠাবান নেতা।

তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারলে সমাজ ও এলাকার উন্নয়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন উপজেলা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারবেন।

জনসাধারণের দোয়া ও ভালবাসায় নির্বাচিত হলে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সকল সম্প্রদায়ের পাশে থেকে কাজ করতে পারবে বলে বিশ্বাস তাদের। জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রয়েছে সম্ভব্য একাধিক প্রার্থী।

তাদের মধ্যে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ হিসাবে পরিচিত মল্লিক মাঝহারুল ইসলামকে চান উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্তÍরের সাধারন মানুষ। কালিয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তার মোড়ে, চায়ের দোকানে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণের সাথে মতবিনিময় করে চলেছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনকারী, সৎ, সাহসী, নীতি ও আদর্শবান, সদা হাস্যউজ্জ্বল মল্লিক মাঝহারুল ইসলাম বলেন, মানুষের শাসক নয়, সেবক হতে চাই। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই । ভবিষ্যতেও সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চাই এবং সকলের প্রতি যতটুকু সম্ভব সাহায্যে সহযোগিতা করার জন্য আমার প্রচেষ্টার কোন কমতি নেই।

উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রকৃত অর্থে উন্নত, আধুনিক, শান্তি – সমৃদ্ধির আবাসস্থল হিসাবে গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার করছি। তিনি আরো বলেন, ব্যক্তি উদ্যেগে মানুষের কল্যাণে সবসময় কাজ করা সম্ভব। সর্বাত্মকভাবে সমাজের সেবা করতে হলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার বিকল্প নাই ।

বিশেষ করে সরকারী অনুদান তৃণমূলের সর্বস্তরের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন করা সম্ভব।

তাই আসন্ন কালিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে আমি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। আমার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডকে , চাঁদাবাজ, মাদক, কিশোর গ্যাং, ভূমিদস্যু, সালিশ বানিজ্য, যৌতুক, বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং মুক্ত, সমাজ গঠনের লক্ষে কালিয়া উপজেলা পরিষদকে একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা ও সর্বস্তরের জনগণের দোয়া,আর্শিবাদ ও সমর্থন চাই।

খুলনায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত