নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকায় মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জের ধরে আবুল কালাম আজাদ (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ঘটনায় মজুন (৩৪) ও তার বাবা ওমর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২২ অক্টোবর দিনগত রাতে র্যাব-৬ খানজাহান আলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করে। ২৩ অক্টোবর দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরীর আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. অহিদুজ্জামান।
এর আগে ২২ অক্টোবর বিকেলে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ গলাকাটা অবস্থায় তাকে আবুল কালাম আজাদের লাশ উদ্ধার করে। মৃত আবুল কালাম শেখ তেলিগাতী মধ্যপাড়া এলাকার গহর আলীর ছেলে।
এলাকাবাসীরা জানায়, সকাল ৯টার দিকে আবুল কালাম আজাদ বাইপাস সড়কের পাশে নিজেদের ঘেরে সবজি তোলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুরের পর বাড়ি না ফেরায় ভাইয়েরা তার খোঁজে বের হয়। এ সময় তারা ঘেরের পাশে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।
একপর্যায়ে জনৈক মহসিন মোড়লের মাছের ঘেরে পানির উপর তার পরিহিত লুঙ্গি এবং গামছা ভাসতে দেখতে পায়। এ সময় তারা ঘেরের পানির ঝোপঝাড়ের মধ্যে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।
নিহতের ভাই শেখ মফিজুল জানান, রবিবার সকাল ৯টায় কালাম শেখ বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় খোঁজাখুজি করে মৎস্য ঘেরে তাকে পাওয়া যায়। তার শরীরে একাধিক কোপ ও গলা কাটা ছিল। তার অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. অহিদুজ্জামান বলেন, ভিকটিম আবুল কালামকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ ঘেরের কচুরিপানার ভেতরে ফেলে পালিয়ে যায় খুনিরা।
একই দিন বিকেল ৫টার দিকে ঘেরের কচুরিপানার মধ্যে থেকে কালামের লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।
Leave a Reply