তথ্যবিবরণী : সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আজ (মঙ্গলবার) বিকালে খুলনাস্থ বানৌজা তিতুমীর ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন খুলনা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল।
স্বাগত বক্তব্যে রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। এই বাহিনী সৃষ্টি হয়েছে রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণের উদ্দেশ্যে। ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর সাধারণ জনতার সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে আমাদের স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করে।
মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাঁথা জাতি গভীরভাবে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতি গঠনমূলক কর্মকান্ডে সশস্ত্র বাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই দিনটি নতুন প্রজন্মকে তাদের পূর্বসুরীদের বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কর্তব্য নিষ্ঠা, অকৃত্রিম দেশপ্রেম, অদম্য মনোবল সর্বোপরি দেশ ও জাতির প্রতি তাদের মহান অঙ্গীকারের কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি দক্ষ ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলেন এবং সে সময় স্বতন্ত্র ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌবাহিনী আজ একটি পেশাদার ও ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
সমুদ্র সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ, সাবমেরিন ও বিভিন্ন যুদ্ধসরঞ্জাম। প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
বানৌজা তিতুমীর ঘাঁটিতে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধা, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পারিবারের সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সেনা ও নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ ছাড়াও খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধা, অবসারপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন-
[…] যুব ফোরাম গঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে… খুলনা-৫ আসনে আ’লীগ’র ১৪প্রার্থী […]