কয়রা প্রতিনিধি: ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসন (কয়রা-পাইকগাছায়) ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকার সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগলের সাথে জয় পরাজয় হবে এমনটা আলোচনা ভোটারদের মাঝে।
এই আসনে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামীগ সাবেক আহবায়ক ও বর্তমান সহ-সভাপতি নৌকার প্রার্থী মোঃ রশিদুজ্জামান এবং খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধাক্য জিএম মাহবুবুল আলম দুজনই ক্ষতাসীন দলের এবং জয়পরাজয় এই দুই জনের মধ্যে।
যে কারনে দলের নেতাকর্মীরা দু’ প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। তবে জেলা ও উপজেলার পদধারী অধিকাংশ নেতারাই নৌকার পক্ষে কাজ করছেন।
জানা গেছে, কয়রা উপজেলায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ভোটের মধ্যে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুধু দু’ প্রার্থীর নয় সচেতন ভোটারদের মধ্যেও আলোচিত হচ্ছে এ বিষয়ে। তবে নৌকা ও ঈগল প্রতিকের মধ্যে জয়পরাজয় হবে এমনটা নিশ্চিত করেছে দু’ প্রার্থীর সমার্থকরা। এদিকে অপর ৪ জন প্রার্থীর ঝুলন্ত পোষ্টার দেখা গেলেও জনসমার্থন অনেকটা শূণ্যের কোঠায় ।
জানা গেছে, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মির্জা গোলাম আজমের ডাব প্রতিকের পোষ্টার ও মাইকে প্রচার অনেকটা চোখে পড়ার মত এবং বিএনএমএর প্রার্থী ব্যারিষ্টার নেওয়াজ মোর্শেদের নোঙ্গর প্রতিকের প্রচারনা দেখা গেলেও সমার্থক নেই বললেই চলে।
এছাড়া লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু প্রতিক পাওয়ার পর ১৯ ডিসেম্বর কয়রায় দলের এক কর্মী সভা শেষে তিনি ভোট বর্জনের কথা বলায় তার পক্ষে পোষ্টার দেখা যায়নি। তবে স্থানীয় জাপার সভাপতি শেখ সদর উদ্দীনসহ অনেক নেতাকে নৌকার মঞ্চে দেখা গেছে।
অন্যদিকে তৃর্ণমূল বিএনপির সোনালী আশ প্রতিকের প্রার্থী নাদির উদ্দিন খানের এবং এনপিপির আবু সুফিয়ানের আম প্রতিকের শুধু পোষ্টার ঝুলনানো দেখা গেলেও দু’প্রার্থীর সাথে দেখা হয়নি ভোটারদের। এমনকি এই দুই প্রার্থীর ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট হবে এমন কোন সমার্থকও খুজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত শেষে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা , ঈগল, ডাব ও নোঙ্গর প্রতিকের প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনার শুরুটা ছিল উৎসব মুখর। কিন্তু নির্বাচনের শেষ মহুর্তে এসে শুধু মাত্র নৌকা ও ঈগলের ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চলতে দেখা যাচ্ছে এবং ডাব ও নোঙ্গর প্রতিকের সমার্থকরা শেষ মহুর্তে মাঠ ছেড়েছেন বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনের ৪ দিন আগে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবর নিয়ে জানা গেছে, যদিও নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতিকের মধ্যে জয়পরাজয় হলেও ভোটারদের মুখে নৌকার জয় হবে এমনটা ধারণা রাজনৈতিক ও পেশাজীবিদের মধ্যে।
এ বিষয় অভিজ্ঞ মহলের ধারনা ভোটার উপস্থিতি কম হলে নৌকার জয় সহজ হবে এবং ভোটার উপস্থিতিতি বেশি হলে নৌকার জয়ের ভোটের ব্যবধান কমে যাবে।
কারন হিসেবে অধিকাংশ অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তি জানান, জামায়াত ও বিএনপির ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বৃদ্ধি পাবে। যে কারনে নৌকার অধিক ভোটের জয়ের ব্যবধান কমে যাবে এবং এমনটা নির্ভর করছে ভোটার উপস্থিতিতির উপর।
[…] […]