গোলাম মোস্তফা : এক মাসের বিল বকেয়া পড়লেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় রূপসা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। দিনের ২৪ ঘন্টার ১৮ ঘন্টা লোডশেডিং দেওয়ার পরও মাস শেষে গুনতে হয় ভৌতিক বিল। অথচ ২১টি সরকারি দপ্তরে রূপসা উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ১১ লাখ টাকা বকেয়া থাকলেও তা আদায় হচ্ছেনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে কোন দপ্তরের নিকট কত টাকা বকেয়া রয়েছে তা জানাতে রাজি হননি উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী ব্যবস্থাপক। এদিকে প্রতিনিয়ত লোডশেডিং নিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোন প্রকার লোডশেডিং নেই বলে দাবি করেছেন রূপসা অফিসের ওই কর্মকর্তা।
রূপসা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় বিদ্যুতের পরিসঞ্চালন লাইন রয়েছে ২৯ কিলোমিটার। গ্রহক সংখ্যা ২৭ হাজার তিন’শ আঠারো জন। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার শিল্প ও বাণিজ্যিক গ্রাহকও রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক ইলাইপুর গ্রামের বাসিন্দা হানিফ খান বলেন, জুন ও ডিসেম্বর মাসের বিল বকেয়া পড়লেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এছাড়া অন্যান্য মাসে পর পর দুটি বিল বকেয়া পড়লে তৃতীয় মাসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা থাকলেও বর্তমানে আগেই বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। বিল পরিশোধের পর পুনরায় সংযোগ প্রদানের জন্য আবেদন করলে গ্রাহককে গুনতে হয় এক হাজার দুই’শ টাকা।
একই গ্রামের অপর গ্রাহক রবিউল ইসলাম বলেন, গরমের সময় ২৪ ঘন্টার ১৮ ঘন্টাই বিদ্যুৎ থাকতোনা। বিল আসতো সাধারণ নিয়মে। তবে বর্তমানে লোডশেডিং পূর্বের তুলনায় অনেকটা কমেছে।
লোডশেডিং বিষয় জানতে চাইলে রূপসা উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী এম এ হালিম খান জানান, বর্তমানে কোন লোডশেডিং নেই।
শীতকালে আমাদের উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা আট মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রীড থেকেও বিদ্যুতের সরবরাহ রয়েছে আট মেগাওয়াট। ফলে এখন কোন লোডশেডিং নেই। গ্রীস্মকালে আমাদের উপজেলায় বিদ্যুতের এ চাহিদা বেড়ে যায়।
তখন বিদুৎতের চাহিদা বেড়ে গিয়ে দাড়ায় ১১.৫ মেগাওয়াটে। জাতীয় গ্রীড থেকে তখন সরবরাহ কম থাকলে দেখা দেয় লোডশেডিং। সে ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে আমাদের কিছুই করনীয় থাকেনা।
সরকারি দপ্তরের বকেয়া বিলের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারি দপ্তরগুলি সাধারণতো বছর শেষে বাজেট পাওয়ার পর বিল দিয়ে থাকে। তবে প্রতিমাসে তাদের বিল প্রদানসহ বকেয়া পরিশোধের তাগিদ দিয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply