শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে আন্তঃবিভাগীয় দুধর্ষ মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার ও তিনটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ সদর থানায় প্রেসবিফিং এর মাধ্যমে অতিরিক্ত পুলিশ মীর আবিদুর রহমান এসব তথ্য জানান। গতকাল সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ সদর থানা চৌকশ অভিযানিক পুলিশ ও সাতক্ষীরা পুলিশের সহায়তায় সাতক্ষীরার শ্যাম নগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদ আলী (৪০) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বংশিপুর গ্রামের মৃত মজিদ গাজীর ছেলে। সংবাদ কর্মীদের কাছে তিনি জানন, আন্তঃবিভাগীয় চোর চক্রের মূল হোতা মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতারের পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আরো দুই জানা যায়। তারা হলো মনিরুজ্জামান (৩৩), পিতা-আজিজ গাজী, সাং-ছোট ভ্যাটখালী, থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরা এবং হেলাল উদ্দীন (২১), পিতা-হবিবুল্লাহ, সাং-চালনা, থানা-দাকোপ, জেলা-খুলনা। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আসামীর স্বীকারোক্তি মতে উক্ত মামলার চোরাই যাওয়া মোটর সাইকেল Passion Xpro 110cc,, যার রেজিষ্ট্রেশন নং-ঝিনাইদহ-হ-১৪-৮০৫৯, নং–JA06ETKGB 13608, যাহার চেচিস PS1JAS043KJD00266 সহ আরো দুইটি চোরাই মোটরবাইক পাওয়া যায়। মোটর সাইকেল দুটির একটি লাল রংয়ের IGNITOR 125 CC মোটরবাইক এবং অন্যটি খ) একটি লাল রংয়ের hero splendor মোটরবাইক।
আসামী মোহাম্মদ আলীর স্বীকারোক্তি মতে চুরির ঘটনার সাহিত তারা জড়িত। এই মামলা ছাড়াও সিডিএমএস পর্যালোচনায় ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলাসহ খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৫ টি মামলা রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, আন্তঃবিভাগীয় মোটরসাইকেল চোরচক্রের প্রধান মোহাম্মদ আলী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক উদ্ধার করা হয় ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় আরও ২ জন সহযোগীকে। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার ৩ জনকে আদালতে পাঠানো হবে।
Leave a Reply