ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় এক পাষানি মা ছয় মাসের দুধ খাওয়া শিশুপুত্র ও চার বছরের কন্যা সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। লোমহর্ষক এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কোমলপুর সরদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার আরাজি সাজিয়াড়া গ্রামস্থ ইসলাম গোলদারের মেয়ে ডলি বেগম (২৫) এর সাথে একই উপজেলার কোমলপুর গ্রামস্থ মৃত আফছার সরদারের ছেলে আঃ মান্নান সরদার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পাঁচ বছর দাম্পত্য জীবনে তাদের কোল জুড়ে জন্ম নেয় শিশুকন্যা ফতেমা খাতুন (৪) ও ছয় মাস বয়সী শিশুপুত্র ওমর ফারুক নামে দুই সন্তান।
স্নাতকোত্তর দম্পতি স্ত্রী ডলি বেগম, বে-সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বামী মান্নান সরদার ও দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সুখেই ছিল পরিবারটি। কিন্তু ঘটনার সকালে নিজ বসতঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত গলায় শাড়ি পেঁচানো ডলি বেগম, পাশে খাটের উপর পড়ে থাকা মেয়ে ফতেমা ও ছেলে ওমর ফারুকের মরদেহ।
কি এমন ঘটনা ঘটেছিল যে স্ত্রী ডলি বেগম লোমহর্ষক এমন ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় স্বামী মান্নান সরদারের কাছে। তিনি অশ্রুসিক্ত নয়নে কোন কারণ জানা নেই এমনটি দাবি করে বলেন, ওই দিন সকাল ৮টার দিকে খাবার সেরে নিজ কর্মে যাই,বেলা ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখি ভিতর দিক ঘরের দরজা বন্ধ।
এরপর ডলি ডলি বলে একাধিক ডাকচিৎকারে সাড়া না পেয়ে বৃদ্ধা মা সাহিদা বেগম কে সাথে নিয়ে কৌশলে ঘরে ঢুকে দেখি স্ত্রী ঝুলন্ত ও পাশের বেডে শিশু দুটির নিথর দেহ পড়ে আছে। এই বলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইজ্জত আলী জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, খবর পেয়ে খুলনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি-সার্কেল আসিফ ইকবাল সহ থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
[…] […]