সকাল ডেস্ক : মুসলিম শাসকদের শাসন ছিলো অর্ধপৃথিবীর ওপর। কিন্তু বিত্তবৈভবের লোভ এবং প্রভাব-প্রতিপত্তির আকাঙ্ক্ষা মুসলমানের দাওয়াত ও তাবলিগের মূল মিশনকে ভুলিয়ে দেয়। পাশাপাশি বৃটিশদের ২০০ বছরের শাসনে প্রভাব পড়ে ইসলামের ওপর।
সূফীদের তরবিয়াত খানকায়ে এবং মাদরাসার পঠন-পাঠন চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। আর ভারত উপমহাদেশের অবস্থা এর বিপরীত ছিল না।
ঠিক এমন সময়ে বিংশ শতাব্দীতে হিন্দুস্তানে এমন এক মহান মনীষীর আগমন ঘটে; যিনি যুগের স্রোতকে ঘুরিয়ে দেন এবং বাতাসের গতিবেগ রুখে দেন। তিনি হলেন তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলবী (রহ.)।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ ইসলামের জন্য উর্বর ভূমি। এখানে অনেক প্রসিদ্ধ আলেম, মনীষী, সমাজ সংস্কারক জন্মগ্রহণ করেছেন।
এই উত্তর প্রদেশের কান্ধলায় মাওলানা ইলিয়াস (র.) ১৮৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাঈল। তিনি একজন আল্লাহ্ভীরু আলেম ছিলেন।
মাওলানা ইলিয়াস (র.) শিশুকালেই কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা নিজ ঘরে ও গ্রামে অর্জন করেন। এরপর তিনি বড়ভাই ইয়াহইয়া কান্ধলবীর সাথে মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী (র.) সান্নিধ্যে থেকে ১০ বছর আধ্যাত্মিক সাধনা অর্জন করেন।
১৯০৮ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসানের (র.) কাছে বুখারী ও তিরমিজীর দরস নেন। এরপর মাওলানা খলিল আহমদ সাহারানপুরির নিকটও বায়া’আত হোন। এর ২ বছর পর তিনি মাজাহিরুল উলুম সাহারানপুরে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) যখন বাংলাওয়ালী মসজিদে দ্বীনি কাজ শুরু করেন তখন সেখানে মেওয়াতের অধিবাসীরা যাওয়া আশা করত।
মেওয়াতের ভক্ত-মুরিদগণ তার কাছে মেওয়াত আগমন করার আহবান করেন। তিনি তাদের কাছে শর্ত দেন যে, আমি অবশ্যই আসব, তবে তোমরা নিজেদের গ্রামে মক্তব চালু করবে।
অতঃপর মাওলানা ইলিয়াস যখন মেওয়াত গমন করেন সেখানে ১০টি মক্তব প্রতিষ্ঠা করে আসেন। এর কিছু দিনের মধ্যে সেখানে কয়েকশ’ মক্তব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২৪ সালে তিনি দ্বিতীয়বার হজব্রত পালনে মক্কা গমন করেন। ফিরে এসে যখন তিনি মেওয়াতের দ্বীনি কাজের অগ্রগতির খোঁজ খবর নিলেন,তখন তিনি হতাশ হলেন।
মেওয়াতের সাধারণ মুসলিমদের মধ্যে কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন না। মক্তবগুলোতে এক বিশেষ শ্রেণী দ্বীনি শিক্ষার অবদান রেখে চলেছে কিন্তু মেওয়াতের সাধারণ মুসলমানের মক্তবে গিয়ে দ্বীন শিক্ষা অসম্ভব ছিল।
তখন তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন যে, মানুষকে ডেকে দ্বীন শেখানো হবে না, বরং মানুষের কাছে গিয়ে তাদের দ্বীন শিখানো হবে। তাদের ঘর থেকে বের করে মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে আসা হবে এবং তাদের ইসলাম ও দ্বীনের বুনিয়াদী বিষয়গুলো শিখিয়ে নিষ্ঠাবান (প্র্যাকটিসিং) মুসলিম বানানো হবে।
এ সময় মেওয়াতে এক বিশাল ইসলাহী ইজতেমার আয়োজন করা হয়। তিনি সেখানে আগমন করেন এবং শ্রোতাদের বয়ান করেন। তিনি তাদের জামাত নিয়ে আশপাশের গ্রামে বের হওয়ার আহবান করেন।
এর এক মাস পর মেওয়াতের পার্শ্ববর্তী গ্রামে প্রথম জামাত বের হয়। তারা সিদ্ধান্ত নেন পরের জুমা সোনা মসজিদে আদায় করবেন।
হযরত ইলিয়াস সেখানে আগমন করেন এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ নসিহত করেন ও দিকনির্দেশনা দিতে থাকেন।
এভাবে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ শুরু হয় এবং মেওয়াতের অনেক জামাত বিভিন্ন এলাকায় বের হতে থাকে। তিনি প্রতি জুমার নামাজের পর তাদের কারগুজারি শুনতেন, নতুন জামাতের পরিকল্পনা করতেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতেন।
১৯৩৮ সালের ১৪ মার্চ হযরত ইলিয়াস, হাজী আব্দুল্লাহ দেহলবী, আব্দুর রহমান, মাওলানা ইহতেশামুল হক কান্ধলবীর সঙ্গে মক্কার সুলতানের সাথে সাক্ষাতের জন্য হেযায গমন করেন।
সুলতান জালালুদ্দীন মালিক সম্মানের সঙ্গে মসনদ থেকে উঠে এসে তাকে ও তাদের দলকে বরণ করে নেন। সুলতানের অতি সন্নিকটে বসিয়ে তাবলিগের কারগুজারি মনোযোগ দিয়ে শুনেন।
হযরত ইলিয়াস এ সময় প্রায় ৪০ মিনিট তাওহীদ, শরিয়ত ও সুন্নাহর ওপর বয়ান করেন। বিদায়কালেও তিনি মসনদ থেকে নেমে সম্মানের সাথে তাদের বিদায় জানান।
মক্কা মদিনার নেতৃস্থানীয় আলেমরা তাকে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজে হেযায ভূমিতে ২ বছর অবস্থান করার অনুরোধ করেন।
কিন্তু তিনি হিন্দুস্তানে দাওয়াতি কাজের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় দেশে প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা পোষণ করেন। হেযায থেকে ফিরে এসে তিনি আরও উদ্যমের সাথে তাবলিগের কাজে মনোনিবেশ করেন।
আলীগড়, দিল্লি, বুলন্দশহর, কান্ধলা, সাহারানপুর প্রভৃতি অঞ্চলে তাবলিগের জামাত প্রেরণ শুরু করেন। হযরত ইলিয়াসের ১৮ বছরের দিন-রাতের নিরলস পরিশ্রম আলোর মুখ দেখতে থাকে।
হিন্দুস্তানের দূর-দূরান্তে জামাত রওনা হওয়া শুরু করে। আলেমরা ও সাধারণের মধ্যে এক দ্বীনি চেতনার আবহ তৈরি হয়।
সাইয়্যিদ আবুল হাসান আলী নদবীর (র.) ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে লেখেন- যেখানে কোন মসজিদ দেখা যেত না সেখানে গ্রামে গ্রামে মসজিদ তৈরি হয়। দেখতে দেখতে উপমহাদেশে হাজার হাজার মসজিদ তৈরি হয়। অসংখ্য মক্তব ও আরবি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। হাফেজের সংখ্যা হাজার থেকে লাখে উন্নীত হয়। আলেমের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
হিন্দুয়ানি অবয়ব ও লেবাসের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হতে থাকে এবং ইসলাম ও শরই লেবাসের মর্যাদা অন্তরে বসে যায়। হাত থেকে কড়ি ও শরীর থেকে পৈতা ছুড়ে ফেলে দিতে থাকে।
দাড়িহীন পুরুষেরা দাড়ি রাখা শুরু করে, শরাবখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
তাবলিগের কার্যক্রম পুরোপুরি পরিচালিত করতে শায়খুল হাদিস জাকারিয়া কান্ধলভীর ‘ফাজায়েলে আমল’ (কর্মের পুণ্যের ফলাফল) ও ‘ফাজায়েলে সাদাকাত’ (ধার্মিকতার গুণাবলী) বইকে তাবলিগের পাঠ্যক্রম হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। প্রতিদিন যেকোনো ওয়াক্তে নামাজের পর এই ২ বই পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।
১৯৪৪ সালে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী মৃত্যুবরণ করেন। তখন তার ছেলে প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভীকে তাবলিগের আমির করা হয়।
সেসময় প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে তাবলিগের আমির নির্বাচিত হন হাজী শফি কুরাইশি। ১৯৪৬ সালে দিল্লি থেকে সৌদি আরবে ও ব্রিটেনে প্রচারণার জন্য কয়েকজন তাবলিগ অনুসারীকে সেখানে পাঠানো হয়।
১৯৪৮ সালে মাওলানা আবদুল আজিজের প্রচেষ্টায় ঢাকায় তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর তা দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। মাওলানা আবদুল আজিজ ছিলেন বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রথম আমির।
১৯৬৫ সালে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভীর মৃত্যুর পর দিল্লিতে মাওলানা এনামুল হাসানকে তাবলিগের আমির করা হয়। সেসময় মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভীর বই ‘হায়াতুস সাহাবা’ ও ‘মুন্তাখাবে হাদিস’ তাবলিগের পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত করা হয়।
অবিভক্ত ভারতে তাবলিগ জামাতের জন্ম ও ক্রমবিকাশ শুরু হয়। এটি পরবর্তীতে দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, বর্তমানে ১৫০টির বেশি দেশে তাবলিগ জামাতের প্রায় ৮ কোটি অনুসারী আছে।
ইজতেমা ও বিশ্ব ইজতেমার শুরু:-
১৯৪১ সালে দিল্লির নিজামুদ্দিনে এক বার্ষিক আলোচনা সভায় প্রায় ২৫ হাজার তাবলিগ অনুসারী যোগ দেন। এটিকেই বর্তমানের ইজতেমার প্রভাবক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৪৬ সালে মাওলানা আবদুল আজিজের প্রচেষ্টায় ঢাকার কাকরাইল মসজিদে প্রথমবারের মতো বার্ষিক ইজতেমা আয়োজিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন তাবলিগের বিশ্ব আমির মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভীও।
১৯৫৪ সালে ঢাকায় লালবাগ শাহী মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় অনুষ্ঠেয় বার্ষিক ইজতেমায় যোগ দেন প্রায় ৫ হাজার মুসল্লি। ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে তাবলিগের ইজতেমা আয়োজিত হয়।
১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আয়োজিত হয় আরও একটি ইজতেমার।
১৯৬০ সালে ঢাকার রমনা উদ্যানে অনুষ্ঠিত ইজতেমাই ছিল প্রথমবারের মতো বড় পরিসরের আয়োজন। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি। এরপর ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে রমনায় বার্ষিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৬৫ সালে রমনায় অনুষ্ঠেয় ইজতেমায় সমাগম হয় প্রায় ২৫ হাজার মুসল্লির। সেখানে স্থান সংকুলান সম্ভব হয়নি। ইজতেমায় মুসল্লি ও অনুসারীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে রমনার পরিবর্তে গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে পাগার গ্রামের খেলার মাঠে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় বার্ষিক ইজতেমার।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পর তথা ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গীতে তুরাগের তীরবর্তী বিস্তীর্ণ ও সুবিশাল পাগার গ্রামের মাঠ তাবলিগ জামাতের বাৎসরিক ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেন। এর পরের বছর থেকে খেলার মাঠটি ছাড়াও তুরাগের উত্তরপূর্ব তীরে ডোবা-নালা, উঁচু-নিচু এলাকা ও রাজউকের হুকুমদখলের ১৬০ একর বিশাল ময়দানে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
১৯৮০-র দশকের শুরু থেকেই টঙ্গী ইজতেমায় বাংলাদেশ ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আসা বিপুল সংখ্যক মুসল্লি যোগ দিচ্ছেন। একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোরের কাছে রায়উইন্ড শহরে ও ভারতের ভূপালে বড় ইজতেমার আয়োজন করা হয়।
এই ২ ইজতেমার চেয়ে টঙ্গীর ইজতেমায় বেশি মুসল্লি যোগ দিলে তা পরবর্তীতে ‘বিশ্ব ইজতেমা’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
ইজতেমা অর্থ সমাগম। বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশে তো বটেই বৈশ্বিকভাবেও তাবলিগ অনুসারীদের সবচেয়ে বড় জমায়েত।
ইজতেমা আয়োজনের প্রধান কারণ হলো—সারা বছর দেশব্যাপী তাবলিগের কর্মপদ্ধতি কীভাবে চলবে তা নিয়ে ইজতেমায় আলোচনা হয়। একই সঙ্গে ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা বেশিরভাগ তাবলিগ অনুসারী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ধর্মপ্রচারের কাজে বের হন।
ইজতেমার মধ্য দিয়েই মূলত দেশব্যাপী তাবলিগের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতিসহ অন্যসব কার্যক্রম প্রণীত হয়।
তাবলিগ জামাতে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত :-
ভারতে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভীর হাতে সৃষ্ট তাবলিগ জামাত শুরু থেকেই ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখেছিল কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে। বাংলাদেশেও সেভাবেই এর সূচনা হয়। তাবলিগ জামাতে মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।
১৯৯৫ সালে মাওলানা ইনামুল হাসান কান্ধলভী মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি তাবলিগের ১০ সদস্যকে নিয়ে শুরা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেন। যেন তার অনুপস্থিতিতে শুরা সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এটি ২০১৫ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
২০১৫ সালে তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভীর প্রপৌত্র মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব আমির করা হয়।
২০১৭ সালে মাওলানা সাদ কান্দলভীর কয়েকটি বিবৃতি দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারীদের বিরুদ্ধে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার মুফতি ইব্রাহিম দেসাই এই বিষয়ে ‘আস্কইমাম’ ওয়েবসাইটে ফতোয়া দেন। এতে মাওলানা সাদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
২০১৮ সালে তাবলিগ জামাতের মধ্যে ২ পক্ষের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব শুরু হয় দিল্লির নিজামুদ্দিনে। মাওলানা সাদ কান্দলভীকে নিয়ে এই দ্বন্দ্বে পৃথক হয়ে পড়েন তাবলিগের অনুসারীরা। মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে পৃথক ফতোয়া দিয়ে বৈশ্বিকভাবে দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি অনুসরণ করা হয় কওমি ও দেওবন্দী মাদ্রাসাগুলোয়। এই দ্বন্দ্বের রেশ এসে পড়ে বাংলাদেশেও।
দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসরণে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার অনুসারীরাও মাওলানা সাদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তারা মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে ২ ভাগে বিভক্ত তাবলিগের অনুসারীরা ২ পর্বে ইজতেমার আয়োজন করে আসছেন।
(সংগৃহীত)।
Although I enjoy your website, you should proofread a few of your pieces. Many of them have serious spelling errors, which makes it difficult for me to convey the truth. Nevertheless, I will definitely return.