নিজস্ব প্রতিবেদক : মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে খুলনার পাইকগাছার দুইশ ও ফেনীতে এক হাজার পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা ভয়াবহ বন্যাকবলিত হওয়ায় বন্যায় আক্রান্ত মানুষদের সহযোগিতা করা এবং চলমান বন্যা মোকাবিলায় ২৬ আগস্ট বিকেলে পাইকগাছা ও ফেনী সদর ও হরিণটানার এলাকার বন্যাকবলিত পরিবারের মাঝে এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এর আগে ২৫ আগস্ট মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের মূল বেতনের সমপরিমান অর্থ অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে জমা প্রদান করা হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, খুলনার পাইকগাছা ও ফেনীর ১২শ পরিবারকে চাল, চিড়া, গুড়, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু, লবণ, পানি, মোমবাতি, ওরস্যালাইন, লাইটার, বিস্কুট, ওয়াটার পিউরিফায়ার সরবরাহ করা হয়। মোংলা বন্দরের পক্ষ থেকে মোট ১৯ টন খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধসামগ্রী বিতরণ করা হয়। পাইকগাছায় ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দরের কমান্ডার নুর হাসান, উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে ২৫ আগস্ট সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখার প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল এর ০১০৭৩৩৩০০৪০৯৩ হিসাব নম্বরে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন জমা দেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যা কবলিত হওয়ায় বন্যায় আক্রান্ত মানুষদের সহযোগীতা এবং চলমান বন্যা মোকাবেলা করার জন্য এ অর্থ দেওয়া হয়।
মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের টাকা দিয়েছি। এছাড়াও ২৬ আগস্ট বন্যা কবলিত ফেনি জেলার এক হাজার পরিবার এবং খুলনার পাইকগাছায় ২০০ পরিবারের মধ্যে ১৯ টন বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য সামগ্রী ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ আগস্ট পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালিনগর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে ২২ নম্বর পোল্ডারের ১৩ গ্রাম প্লাবিত হয়।
দেলুটির ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সোমবার ৫ দিনে ও মেরামত করা যায়নি। ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকায়। সুপেয় পানির চরম সংকটসহ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। প্রয়োজনীয় আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় ওয়াপদার বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে।
Leave a Reply