নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে এপার বাংলার রয়েছে হৃদয়ের সম্পর্ক আর ওপার বাংলার সঙ্গে কবির ছিল নাড়ির সম্পর্ক। এ জন্য কবির কাছে দুই বাংলাই ছিল খুব আপন। দুই বাংলার বিভক্তি কবির হৃদয়ে দারুণ ব্যথা দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে খন্ডিত ভাবে দেখি। তাকে আমাদের অখন্ডিত ভাবে দেখতে হবে। তার জীবনাদর্শকে আমাদের সকলে অনুসরন করতে হবে। তিনি আমাদের কালের সাথে মিশে আছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের জমিদারি ছিল এপার বাংলায়। এই জমিদারি দেখাশোনার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এপার বাংলার অনেক জায়গায় থেকেছেন, ঘুরেছেন আর তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে তিনি সমৃদ্ধ করে গেছেন বাংলা সাহিত্যকে। তিনি অর্জন করেছেন পৃথিবীর সম্মানিত পুরস্কার নোবেল।
তিনি আরও বলেন, এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি বাঙালির মনে ও মননে সব সময় জাগরূক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বাঙালির নিত্যসঙ্গী। আমাদের চলতে–ফিরতে, বিভিন্ন ধরনের সভা, সমাবেশ, অনুষ্ঠান, উৎসবে রবীন্দ্রসংগীতের সুর কানে আসে। সংকটে তাঁর বাণী অতীতের মতো এখনো প্রেরণার উৎস। সত্যের পথে চলতে, অন্যায়ের প্রতিবাদে কেউ পাশে না থাকলেও অভীষ্ট লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে একাই এগিয়ে যাওয়ার সাহস জোগান তিনি।
এমন আরও অনেকভাবেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির জীবনঘনিষ্ঠ হয়ে আছেন। তাঁর গান জাতীয় সংগীত হিসেবে গেয়ে ধন্য হয়েছে এ দেশের মানুষ।
তিনি ৮ মে (২৫ বৈশাখ) সকালে রূপসা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উদ্বোধনী,আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাঈদুর রহমান পিপিএম (বার), রূপসা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দীন বাদশা, খুলনার স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক (উপ সচিব) সরকার মো: ইউসুপ আলী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এলএ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ সার্কেল হাফিজুর মোঃ হাফিজুর রহমান, খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সরদার মাহাবুবার রহমান, আইচগাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোল্যা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান।
মুখ্য আলোচকের বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.তানভীর দুলাল।
স্বাগত বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান। সার্বিক অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করেন শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এবং কৃষ্ণ গোপাল সেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপসা উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জিএম ইমদাদুল হক, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মজুমদার, মৎস্য কর্মকর্তা বাপি দাস, সমাজসেবা কর্মকর্তা জেসিয়া জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসি রানী রায়, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ইসরাক রহমান, পল্লী বিদুৎ এজিএম এম এ হালিম, প্রকৌশলী সুখেন রায়, অধ্যাপক আল মামুন সরকার, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ রায়, রবী ঠাকুরের বংশধর গোপাল চন্দ্র কুশারী, রূপসা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু, মনি শংকর নাগ, শ্যামল দাস, নৃপেন্দ্রনাথ রায় প্রমূখ। এরপর বিকালে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply