বিশেষ ঘোষণা :
*নতুন সকাল ডটকম পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন *নতুন সকাল ডটকম পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন *নতুন সকাল ডটকম পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন *নতুন সকাল ডটকম পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন
সংবাদ শিরোনাম :
বিআরডিবির সার্বিক মূল্যায়নে রূপসা উপজেলা প্রথম খুলনা সিভিল সার্জন অফিসে ৪ দিনের প্রশিক্ষণ ৩ ঘন্টায়, ৪ লাখ আত্মসাত রূপসায় মেধাবী শিক্ষার্থী চৈতির মৃত্যুর জন্য দায়ী শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু বিলাস হালদার রূপসা উপজেলা বিএনপির সদস্য মনোনীত রূপসায় উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত রূপসা মডেল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনকে অব্যহতি প্রদানের দাবিতে লিখিত অভিযোগ ফকিরহাটে ইউএনওর হাতে বন্যার্তদের জন্য অর্থ  দিলেন বিএনপি নেতা পলাশ  বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে পুনর্গঠন করতে চাই-বিদ্যুৎ উপদেষ্টা আ’লীগ নেতার ষড়যন্ত্রে ১৫ বছরেও এমপিও ভুক্ত হয়নি খুলনার ২ প্রতিষ্ঠান
মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের তীরভূমি দখলের মহোৎসব, নাব্যতা সঙ্কটের শংকা

মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের তীরভূমি দখলের মহোৎসব, নাব্যতা সঙ্কটের শংকা

মেহেদী হাসান, রামপাল (বাগেরহাট) থেকে : মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের তীরভূমি ও প্লাবনভূমির হাজার একর সরকারি চরভরাটি জমি দখল করে মাছ চাষের মহোৎসবের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কথিত ভূমিহীন ও ভূমিদস্যুরা এসব জমি দখলে নিয়ে মাছ বড় বড় খামার করাসহ বাড়ীঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। এতে সরকারের হাজার কোটি টাকা মূল্যের জমি বেহাত হওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে।
বাগেরহাট জেলা কালেক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের উদাসিতা ও নজরদারীর অভাবে এত বিপুল পরিমাণ মূল্যবান জমি বেহাত হতে চলেছে বলে পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন মহল মনে করেন।
জানা গেছে, মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলটি ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি জলবায়ু পরিবর্তন ও মনুষ্যসৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার কারণে নাব্যতা হারায়। পর্বতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে প্রায় ৫ শত কোটি টাকা ব্যায়ে চ্যানেলটি খনন করে উম্মুক্ত করা হয়।
চ্যানেলটির নাব্যতারক্ষায় মূল চ্যানেলটির ৫ কিলোমিটার এলাকা বাদ দিয়ে রোমজাইপুর পয়েন্টে লুফ কাট দিয়ে আলাদা করা হয়। পাঁচ কিলোমিটার এলাকা লম্বা ও প্রায় ৩ শত মিটার চওড়া নদীর মূল অংশ খনন না করায় এটি এখন শীর্ণকায় খালে পরিণত হয়। যা মুজিবনগর ও রোমজাইপুর পয়েন্টের বড়দিয়া, ছোটদিয়া, কুমারখালী মৌজার কালিগঞ্জ এলাকা জুড়ে বিস্তিৃত।
পাঁচ কিলোমিটার চ্যানেলের অ্যংশে ৬০ এর দশক থেকে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় হাজার একর জমি সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত হয় হওয়ার কথা থাকলেও সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এটি রক্ষনাাবেক্ষণেও সরকারের ভূমি ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্টদের নানান অসংগতি রয়েছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
নতুন করে মুজিবনগর পয়েন্টে ভূমিদস্যুরা আবারো নদীর তীরভূমি ও প্লাবনভূমি দখল করে বেড়িবাঁধ দেয়া শুরু করেছে। গিলাতলার মিজান মল্লিকের নেতৃত্বে মুজিবনগর গ্রাামের শেখ ইলিয়াসের ছেলে শেখ বেলাল, রুস্তুম শেখের ছেলে শেখ মুকুল, শেখ শরিফুল, শেখ সাইফুল ও শেখ সোলাইমানের ছেলে শেখ আরিফ এবং মৃত শেখ মাহাতাবের ছেলে মোজাফফর হোসেন বেড়িবাঁধ দিচ্ছেন। সরোজমিনে গিয়ে অবৈধ বেড়িবাঁধ দিতে দেখতে পান এ প্রতিবেদকসহ সাংবাদিকরা।
এ বিষয়ের মল্লিক মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযুক্ত শেখ বেলাল, মুকুল, আরিফ ও শরিফুলের কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন খাস জমিতে বাধঁ দিচ্ছেন ? এর উত্তরে তারা বলেন, সবাই সরকারি খাস জমি দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। আমরা বাঁধ দিতে গেলে মিজান মাষ্টারের লোকজন বাঁধা দিচ্ছে। সবাই জমি ঘিরেছে, আমরা ঘিরলে দোষ হচ্ছে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা এর দৃষ্টি আকর্শন করা হলে তিনি বলেন, মোংলা ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতারক্ষায় সব কিছু করা হবে। সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল। অনুমতি ছাড়া এই পোর্টালের কোন সংবাদ কপি করে অন্য কোথাও প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন।