পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাকি আহতদের ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) আনুমানিক রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের জয়পুর মিনাবাড়ি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় মো. তাহের (৫৫), ওমর ফারুক (২৪), সিদ্দিকুর রহমান (২৭), টুকি (২১), আলামিন (১৮), ও ইব্রাহিম (৪০) সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আহতদের বোন ভুক্তভোগী আসমা বেগম রূপসা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৫ মে) দুপুরে পুর্ব শত্রুতা ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার প্রতিবেশীদের সাথে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওইদিন রাতে প্রতিবেশী হামলাকারী ওমর ফারুক, তাহের, সিদ্দিক, টুকি, আলামিন ও ইব্রাহিম একত্রিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে বাড়ির আঙিনায় প্রবেশ করে তাদের অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলাকারীরা আহত লিটন ও জুম্মানকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে। এমনকি তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে আঘাত করা হয়।
এ-সময় আহতদের পরিবারের লোকজন ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও কিল-ঘুষি, চড়থাপ্পড় ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।
এতে আহত লিটনের মাথায় ১৬ টি সেলাই ও তার ভাই জুম্মানের মাথায় ৩টি সেলাই লেগেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
এছাড়াও ৬-৭ মাস আগে ভুক্তভোগী নারী আসমা খাতুন হামলাকারী ওমরের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগে রূপসা থানায় জিডি করে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী নারী আসমা খাতুন বলেন, আমার ভাইদের ধারালো দা ও লাঠি দিয়ে কুপিয়েছে।
এমনকি আমার মা, আমার ভাইদের স্ত্রী এবং আমি ঠেকাতে গেলে আমাদেরও মারপিট করে।
আমরা গরিব মানুষ, এর সঠিক বিচার চাই।
হামলাকারীদের সাথে ঘটনা জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply