রূপসা প্রতিনিধি : ভুল কেরআত দিয়ে জামাতে নামাজ পড়ানো, নামাজের মধ্যে বার বার ভুল করা ও মুসল্লিদের কথার গুরুত্ব না দেওয়সহ নানবিধ অনিয়মের অভিযোগে রূপসা উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে চাকুরী থেকে অপসারণের দাবি উঠেছে।
স্থানীয় মুসল্লিবৃন্দ, এলাকাবাসী, ইমাম পরিষদ ও শিক্ষার্থীরা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পদে চাকুরীরত দুই ভাইকে অব্যহতি চেয়ে ০২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে উপজেলা পরিষদের সামনে তারা মানবন্ধন করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ইমাম পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলনা হাবিবুল্লাহ মেজবাহ, বায়তুল হামদ্ জামে মসজিদের খতিব মাওঃ আমিরুল ইসলাম, ইসলামি চিন্তাবিদ, ইমাম ও খতিব মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা ইব্রাহীম খলিল ফারুকী, মাওলানা জামশেদ হুসাইন, মাওলানা নাজমুল হুদা, হাফেজ হারুনার রশিদ, শমশের গাজী, হাফেজ নিজামুদ্দিন, মাওলানা আবুল হাসান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আমিনুল ইসলাম, নাহিদুল ইসলাম, মুস্তাহীদুল হক, হাবিবুল্লাহ শেখ, ইকরামুল হক, এসএম আবুল হাসানাত, ইমাম হোসেন প্রমুখ।
লিখিত অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া খুলনা জেলা প্রশাসক, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মডেল মসজিদে নিয়োগের সময় রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগীতায় একই পরিবারের দুই ভাই একজন ইমাম অন্যজন মুয়াজ্জিন হিসেবে মডেল মসজিদে নিয়োগ পায়। মডেল মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন যারা তারা হবেন সৎ যোগ্য, চরিত্রবান, নিরপেক্ষ, সামাজিক, নৈতিক আদর্শে, সর্বজনের কাছে গৃহীত। কিন্তু রূপসা উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মধ্যে রয়েছে এগুলির বিপরীত চরিত্র।
নামাজের সময় বাদে আওয়ামী লীগ নেতাদের আফিসে, দোকানে, বাসায় তাদেরকে নিয়মিত যাতাওয়াত করতে দেখা যায়। ঐ নেতাদের সহযোগীতায় তারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে সাধারণ মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না।
ইমাম সাহেবের জুম্মার আলোচনা সাধারণ মুসল্লিদের বুঝতে কষ্ট হয়। ওয়াক্তি নামাজে ইমাম সাহেবের রাকাত ভুলে যাওয়ার কারনে নামাজ এলোমেলো হয়ে যায়। এমন সময় মুকতাদিরা লুকমা দিলে নামাজ শেষে মুকতাদিদের উপরে ইমাম ও মুয়াজ্জিন ক্ষিপ্ত হন।
মুসল্লিগণ তাদের ভুল ত্রুটির কথা বললে তারা মুসল্লিদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়, তাদের এরুপ আচনের মুসল্লিদের মনে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরী হয়। বুকভরা ব্যাথা নিয়ে অধিকাংশ নিয়মিত মুসাল্লিগণ ঐ ইমাম, মুয়াজ্জিনদের পিছনে নামাজ পড়বে না বলে মডেল মসজিদ ত্যাগ করে অন্য মসজিদে চলে যান, ক্রমন্বায়ে মুসল্লিসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। তাই এমতাবস্থায় ওই দুইভাইকে চাকুরি থেকে অব্যহতি দিয়ে নতুন করে ইমাম, মুয়াজ্জিন নিয়োগের দাবি করেন তারা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি কোহিনুর জাহান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আগেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে বারবার সমাধান করার চেষ্টা করেছি। তবে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন হওয়ায় আমি সরাসরি কোন পদক্ষেপ নিতে পারছিনা। আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব তারা বিষয়টি দেখবে।
Leave a Reply