নিজস্ব প্রতিবেদক : কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন বিগত সরকার সাংবাদিকদের মতামত প্রকাশের স্বাধীননা হনন করেছিলো। একারণে ১৬ বছরে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা হয়েছিলো৷ দেশ সেবায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে হবে।
তিনি বলেন জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠন করতে পারলে বাংলাদেশে তৃমূল পর্যায়ে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করা হবে। রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত খুলনা—৪ আসনকে মডেল আসন হিসাবে বাংলাদেশের বুকে স্থান করতে দল মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। তিনি ১ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে রূপসা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রূপসা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
রূপসা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন রূপসা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম মাহবুবুর রহমান। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাবেদ হোসেন মল্লিকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক ছাত্রনেতা আবু হোসেন বাবু, সাবেক জেলা বিএনপি নেতা আঃ রশিদ শেখ, মোল্যা খায়রুল ইসলাম। বক্তৃতা করেন বিএনপি নেতা জিএম কামরুজ্জামান টুকু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বিকাশ মিত্র, রয়েল আজম, ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ইলিয়াছ হোসেন, হুমাউন কবির শেখ, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা উজ্জল সাহা, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন মিন্টু, মোঃ দিদারুল ইসলাম, মোল্লা রিয়াজুল ইসলাম, কবির শেখ, লাভলু শেখ, মহিউদ্দিন শেখ, আজিজুর রহমান, আঃ মালেক শেখ, সাইফুল ইসলাম পাইক, ছাত্রদল নেতা জান্নাতুল নাঈম, রূপসা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক খান আঃ জব্বার শিবলী, সহ—সভাপতি আঃ কাদের, সাবেক সভাপতি তরুন চক্রবর্তী বিষ্ণু, সাইফুল ইসলাম বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন, তরিকুল ইসলাম ডালিম, সাংবাদিক খান মিজানুর রহমান, আল মাহমুদ প্রিন্স, হামিদুল হক, আকতার খান, চিত্ত রঞ্জন সেন, বেনজির হোসেন, শাহরিয়ার হোসেন মানিক, মোস্তাফিজুর রহমান, চন্দন ভট্টাচার্য, বিএম শহিদুল ইসলাম, নাইমুজ্জামান শরিফ, হাসানুজ্জামান মনি, রেজাউল ইসলাম তুরান।
পরে বিকেলে তিনি রূপসা উপজেলার কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শহীদ মুনসুর স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ১৬ দলীয় ৫ম অধ্যক্ষ খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এসময় তিনি বলেন, ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে দেশ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব। দেশের তৃমূল পর্যায়ে মাদকের ব্যাপক ছড়াছড়িতে যুবক সম্প্রদায়েরা জড়িয়ে পড়েছে। বিগত সরকাররে সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভাবে এ সমস্যা সারা দেশে সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন যুব এবং ছাত্র সম্প্রদায়কে মাদকের এই করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে ক্রীড়া চর্চার বিকল্প নাই। খেলাধূলার মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়রা সদা ব্যস্ততা থাকলে তাদের মাথা থেকে মাদকের নেশা দূর হবে। তিনি আরও বলেন অধ্যক্ষ আলমগীর কবির ছিলেন একজন ক্রীড়াপ্রেমি, সদালাপী এবং পরোপকারী মানুষ। তার নেতৃত্বে রূপসা উপজেলায় ব্যাপক ক্রীড়াচর্চা সংগঠিত হতো।
উদ্বোধনী খেলায় স্বাগতিক মুনসুর স্মৃতি সংসদ এবং বটিয়াঘাটা তরুন সংঘ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলায় ট্রাইবেকারে ৪—৩ গোলে বটিয়াঘাটা তরুন সংঘ বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলা পরিচালনা করেন জুনায়েদ শরিফ, মনিরুল ইসলাম ঢালী, আজিজুর রহমান বাবলু।
সমাজসেবক মাফতুন আহম্মেদ রাজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ক্রীড়া সংগঠক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর চাইনিজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক জেলা বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী জুলু, মনিরুজ্জামান মন্টু, মোস্তাফা উল বারী লাভলু, সাবেক ছাত্রনেতা আবু হোসেন বাবু, সাবেক জেলা বিএনপি নেতা আঃ রশিদ শেখ, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, তৈয়েবুর রহমান, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, মাহবুব হাসান পিয়াস, ইকরামুল হক হেলাল, আতাউর রহমান রুনু, আলী আজগর, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্যা সাইফুর রহমান, সদস্য সচিব জাবেদ হোসেন মল্লিক, যুগ্ম আহবায়ক বিকাশ মিত্র, রয়েল আজম, ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক খান আনোয়ার হোসেন, মহিউদ্দিন মিন্টু, আ: মালেক, সদস্য সচিব আজিজুর রহমান, দিদারুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইবাদুল হক রুবায়েত ও উজ্জল সাহা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক বাবলু কুমার আঁশ, সৈয়দ মাহমুদ আলী, আলম শেখ, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম পাইক, সৈয়দ নিয়ামত, কামরুল ইসলাম কচি, বাদশা জমাদ্দার, মুন্না সরদার,খান আলিম হাসান, কামরুজ্জামান নান্টু, হাসিবুর রহমান, খন্দকার শরিফুল ইসলাম, শাহজামান প্রিন্স, বিএনপি নেতা মোঃ বাবুল শেখ, মাসুদ খান, শামীম হাসান, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, তরিকুল ইসলাম , খন্দকার ইমরান হোসেন, আবু সাঈদ, ইসরাইল বাবু, শাহাজাদা আলমগীর, নাঈম ইসলাম, হিরক গোলদার, সফর কাজী, ইব্রাহিম শেখ, শাহিনুর শেখ, ফেরদৌস, হাসান ফারাজী, জহির খান, তাহসিন প্রমূখ। এরপর কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল কাজদিয়া গ্রামের প্রয়াত সৈয়দ ইসার বাড়িতে যান, পরিবারকে শান্তনা দেন এবং তার কবর জিয়ারত করেন।
Leave a Reply