নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা জেলা ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে দাকোপ থানাধীন কালাবগি সুন্দরবন এলাকার ভদ্রা নদী হতে ৪ টি বিভিন্ন সাইজের কাঠের তৈরী ডিঙ্গি নৌকা, ২ হাজার ৯০০ ফুট মাছ ধরার জাল, ৪ বোতল মাছ মারার কীটনাশক ও অনুমান ২৫ কেজি চিংড়িসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ’র (বিপিএম) নির্দেশনায় জিএম আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এর সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়ার নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) এমডি আসাদুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ৩০ নভেম্বর দাকোপ থানাধীন সুন্দরবন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
ওই দিন রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে শ্রীনগর অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারেন যে, দাকোপ থানাধীন কালাবগি সুন্দরবন এলাকার ভদ্রা নদীর খালের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যাক্তি খালে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে।
উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার নিমিত্তে তাৎক্ষনিকভাবে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ট্রলার যোগে দ্রুত রওনা হয়ে ১ ডিসেম্বর ভোররাত অনুমান ০৪ টা ৪৫ মিনিটে দাকোপ থানাধীন কালাবগি সুন্দরবন এলাকার ভদ্রা নদীর খাল থেকে ৯ জনকে আটক করে।
এরা হলেন মোঃ রিয়াদুল হাওলাদার (৪০), মোঃ রফিক খান (৪৫), মোঃ মহিদ হাওলাদার (১৮), মোঃ সাহিদুল্লাহ শেখ (২৮), মহিতোষ বাইন (৪০), জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৫), মোঃ ইছাক মোল্যা (৩৮), মোঃ শহিদুল হাওলাদার (৩৫), মোঃ রুবেল গাজী (২৫)।
তাদের হেফাজত হতে আলামত ০৪ টি বিভিন্ন সাইজের কাঠের তৈরী ডিঙ্গি নৌকা, ২৯০০ ফুট মাছ ধরার জাল, মাছ মারার কীটনাশক ০৪ বোতল এবং নৌকা হইতে সর্বমোট ২৫ কেজি চিংড়িসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ মাছ উদ্ধার করেন। এ সংক্রান্তে জেলা গোয়েন্দা শাখা, খুলনার এসআই (নিঃ)/ এমডি আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে দাকোপ থানায় বন আইনে মামলা দায়ের করেন।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ গুলোর মধ্যে মাছ অন্যতম। সুন্দরবনের বুকের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী ও খালের প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।
জেলেরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ জাল ও কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ আহরন করে থাকে। উক্ত কারণে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে যে সমস্ত নদ-নদী ও খাল রয়েছে সে সমস্ত নদ-নদী ও খালের আহরণের উপযোগী মাছ ব্যতীত সকল মাছের রেনু, পোনার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।
কিছু কুচর্ক্রী জেলে মহল সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অবৈধ কীটনাশক ব্যবহার করে সকল প্রকার মাছের রেনু, পোনার ব্যাপক ক্ষতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করছে।
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্টকারী, ক্ষতিসাধনকারীদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ, খুলনার অবস্থান জিরো টলারেন্স। যারা এ সমস্ত কাজে জড়িত তাদের প্রত্যেকে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply