নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্মিলিত কর্মচারী পরিষদ নামে খুলনা বিভাগের সকল পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মচারীদের সমন্বয়ে বার্ষিক পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানের নামে স্টেনোগ্রাফার আব্দুর সবুর শেখ এর বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের পাশাপাশি বদলির ভয় দেখিয়ে কর্মচারীদের কাছ থেকে অর্থ বাণিজ্যের আরো অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী একাধীক সূত্রে জানা গেছে, অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের খুলনা বিভাগীয় অফিসের স্টেনোগ্রাফার আব্দুর সবুর শেখ খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা সায়রা স্মরনী রোডে ৫তলা বাড়ি করেছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তিনি একটা বদলীতে ৫০হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। মোঃ জাহাঙ্গীর কবীরের বদলীতে ৩০ হাজার টাকা, বদলী না করার শর্তে কামাল হোসেনের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন। এছাড়া জাহাঙ্গীর কবীরকে ডুমুরিয়া থেকে বাগেরহাটের ফকিরহাট, কামাল হোসেনকে নড়াইল থেকে ডুমুরিয়া, জুলফিকার আলী ভুট্টকে ফকিরহাট থেকে কুষ্টিয়ার খুকশা উপজেলায় বদলী করে বিনা কারণে। বিশ^জিৎ কুমারকে বটিয়াঘটা থেকে মোংলা এবং মোংলা থেকে লাভলি আক্তারকে বটিরাঘাটায় বদলী করে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে। বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থেকে ফার্মাসিস্ট বাবুল ঘরামীকে ৫০হাজার টাকায় ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নে, শ্যামনগরের কালিগঞ্জ থেকে ফার্মাসিস্ট বিএম শাহনেওয়াজকে ৫০ হাজার টাকায় ডুমুরিয়ার ধামালিয়ায়, বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে মায়া রাণী মন্ডলকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বটিয়াঘাটায়, দিঘলিয়া থেকে সাথী আক্তারকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে খুলনা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বদলি করেন।
স্টোনোগ্রাফার ও সম্মিলিত কর্মচারী পরিষদের আহবায়ক সবুর শেখ বলেন, আমি সামান্য একজন কর্মচারী। বদলী করার ক্ষমতা আমার নেই। ডিডি অফিসের সুপারিশ ছাড়া কাউকে বদলী করার সুযোগও নেই। প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ রয়েছে, তারা হয়তো প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।
Leave a Reply