নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদাবাজীর অভিযোগে ফকিরহাটে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাশ গত ২২ জানুয়ারী ফকিরহাট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২০জানুয়ারী বিকাল অনুমান ০৫টা হতে ০৬টা পর্যন্ত জাড়িয়া ভট্টখামার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং আয়া পদে লিখিত নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরীক্ষায় বিভিন্ন পদে মোট ২৩ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করে। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় ফকিরহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহাম্মেদ, ডিজি’র প্রতিনিধি মুন্সি শাহারিয়ার হাসান, মূলঘর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভট্টখামার মাধ্যমিক বিদ্যালযয়ের সভাপতি পুলিন বিহারী ঘোষউপস্থিত ছিলেন।
ঐ দিন রাত অনুমান ০৮টায় ফকিরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক প্রবাহ প্রতিনিধি শেখ ফারুক হোসেন (৪৫) পিতা-শেখ মোন্তাজ উদ্দিন, সাং-আটাকী, ফকিরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী ও দৈনিক আমাদের কণ্ঠ পত্রিকার ফকিরহাট প্রতিনিধি মোঃ মোজাহেদুর রহমান (৪৫) পিতা- সাখাওয়াত হোসেন, সাং-জাড়িয়া মাইটকুমড়া ও দৈনিক পূর্বাঞ্চল এবং এশিয়ান টিভির রিপোর্টার এইচ এম নাসির উদ্দিন (৫০) পিতা-মোঃ আফসার উদ্দিন হাওলাদার, সাং- কাহারডাঙ্গা, সর্ব থানা-ফকিরহাট, জেলা-বাগেরহাটগণ উক্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিয়োগ ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রধান শিক্ষককে জানায় যে, আপনারা অবৈধভাবে স্কুলের নিয়োগ দিচ্ছেন আমাদেরকে ৫০হাজার টাকা চাঁদা না দিলে আমরা এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করবো। আসামীদের উক্ত প্রস্তাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজি না হওয়ায় সকল আসামীরা তাকে মারপিটসহ খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সিকদার (৫৬) ভীত সম্রস্ত হয়ে সকল আসামীর উপস্থিতিতে ২০ জানুয়ারী রাত সাড়ে ০৮টায় বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের বারান্দায় দাড়িয়ে ১নং আসামীকে ২০হাজার টাকা, ২নং আসামীকে পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করেন। আসামীরা তাদের দাবিকৃত চাঁদার থেকে ২৫হাজার টাকা পেয়ে এবং অবশিষ্ট চাঁদার ২৫হাজার টাকা তিন দিনের মধ্যে না দিলে সংবাদপত্রে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করবে এবং ঘটনার বিষয় কাউকে না জানানোর জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ঘটনার বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমাকে জানালে আমি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিষয়টি বিস্তারিত শুনি এবং সত্যতা পাই। উক্ত ঘটনায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আইনশৃংখলার স্বাভাবিক পরিমূর্তিকে নষ্ট করার অপচেষ্টা করায় উপজেলার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
Leave a Reply