রাসেল আহমেদ : প্রমিলা ঘোষ (৬০) তেরখাদা উপজেলার পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। শীতের কম্বল পেয়ে হাসিমুখে বললেন, ‘ ‘গ্রামের গরিবদের শীতের কষ্ট দেখার লোক নেই। যিনি আমাদের মতো গরিব মানুষের খোঁজ নিয়ে শীতের কাপড় (কম্বল) দিচ্ছে তাঁকে ঈশ্বর বাঁচায় রাখুক।
উপজেলা সদরের কাটেংগা এলাকার জাহানারা বেগম (৫৬) কম্বল পেয়ে বলেন, ‘ডেকে ডেকে কম্বল কয়জনে দেয়? যেটা পেয়েছি তাতেই খুব খুশি হলাম। শীত নিবারণে কিছুটা হলেও উপকার হবে। আল্লাহ যেন আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপি কে দীর্ঘজীবী করেন”।
শীতে এমপির কম্বল পেয়ে দুই হাত তুলে এ দোয়া করলেন উপজেলা সদরের ৭০ বছরের বৃদ্ধা আলেয়া বেগম। খুলনা-৪ আসনের এমপির উপহার শীতের কম্বল’ পেয়ে এসব উচ্ছ্বাস ও হাসিমাখা কথাগুলো বলেছেন তেরখাদা উপজেলার শীতার্ত মানুষগুলো।
সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী’র নিজস্ব অর্থায়নে শীতের শুরু থেকে তেরখাদা উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন । এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার শীতার্ত মানুষের কাছে পৌঁছানো হয়েছে কম্বল।
এই শীতে কনকনে ঠান্ডায় বিপদগ্রস্থ অসহায় মানুষকে একটু উষ্ণতার পরশ দিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনের দলীয় নেতা কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, দলিত সম্প্রদায় সহ বিভিন্ন পেশাজীবী, অসহায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে ঘুরে ঘুরে কোম্বল বিতরণ করছেন। এসব উন্নত মানের কম্বল হাতে পেয়ে মহাখুশি সুবিধাভোগিরা।
আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে খুলনা-৪ আসনের মানুষের নিকট প্রধানমন্ত্রীর সকল সাহায্য সহযোগিতা ঘরে ঘরে পৌছে দিতে চাই। ছিন্নমূল পরিবারের মানুষেরা যাতে করে শীতে কাবু না হয়, সেদিক বিবেচনা করে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি।
এমপির নিজস্ব অর্থায়নে তার নির্বাচনীয় এলাকা তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়া উপজেলাতে শীতের এই বছর প্রায় ৪০ হাজারের অধিক কম্বল বিতরণ করেছেন বলে আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপি’র চীফ কো-অর্ডিনেটর নোমান ওসমানী রিচি ও সালাম মূর্শেদী সেবা সংঘের টিম লিডার সামছুল আলম বাবু জানিয়েছেন।
Leave a Reply