মোংলা প্রতিনিধি : পুলিশের কাছে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে অশিকার করায় এক গৃহবধুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বাবু, শান্ত, সাগর ও ত্রিপন নামের কয়েকজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা। তাদের মারধরে অসহায় ওই গৃহবধু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লে। মোংলা পোর্ট পৌর শহরের দক্ষিন দ্বিগরাজ বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবারের এ ঘটনায় ৪জনকে চিহ্ণিত করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করলেও প্রভাশালীদের চাপের মুখে এখনও কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনী পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় চাঁপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
থানার এজাহর সুত্রে ভুক্তভোগী ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, দক্ষিন দ্বিগরাজ বালুর মাঠ এলাকায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন ২৬ শতকের একটি পরিত্যাক্ত পুকুরের পানি দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকাবাসী খাওয়া-দাওয়া সহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে আসছিল। ওই গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার উক্ত পুকুরটির পানি ব্যবহার করছে। কিন্ত কিছুদিন ধরে বন্দর কর্তৃপক্ষের এই পুকুরটি একটি প্রভাবশালী মহল জবর দখল করে বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করছে এবং সে পুকুরে রাসৈনিক সার ও কিটনাশক ব্যাবহার করছে। এছাড়া জোরপুর্বক দখলে নিয়ে অত্র পুকুরটিতে প্রভাবশালী মহলটি এলাকাবাসীকে পানি ব্যবহার করতে দিচ্ছে বলে থানার অভিযোগে উল্লেখ করে। এতে করে উক্ত পরিবার গুলি পানির সংকটে ভোগ করে আসছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর পানির প্রয়োজনে পুকুরটি ব্যবহার করতে গেলে ঐ দখলকারী মহলটি তাতে বাধা প্রদান করছে।
গত ১ ফেব্রয়ারী বুধবার দুপুরে সন্ত্রাসী বাবু হাওলাদার তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উক্ত পুকুরটির পানি নিস্কাশন করার চেষ্টা করে। এসময় সামনে শুকনো মৌশুম তাই প্রামবাসীর একমাত্র পুকুরটির পারি সংরক্ষনের জন্য গ্রামবাসী এতে নিশেধ করে। পরে গ্রামবাসীর সাথে বাবু হওলাদার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে কথা কাটাকাটীর এক পর্যায় গ্রামবাসীরউপর হামলা করে এবং প্রান নাশের হুমকি দেয় বাবু সহ তার দলবল।
এনিয়ে ৩ ফেব্রয়ারী সন্ধ্যা রাতে বাবু হাওলাদরের বোনকে দিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে গ্রামবাসীরকে সায়েস্তা করার জন্য একটি মামলার সাজানোর চেষ্টা করে বাবু হাওলাদার যা এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এতে এলাকার এক গৃহবধু সেলিনা বেগমকে মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়ার জন্য বললে তিনি তা অস্বীকার করায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাবু সহ কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে মারধর করে। এসময় গৃহবধুর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায় বলে জানায় প্রত্যাক্ষদর্শীরা। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মোঃ স¤্রাট সরদার বাদি হয়ে দ্বিগরাজ ৪নং ওয়ার্ড বালুর মাঠ এলাকার মজিবুর হাওলাদারের ছেলে মোঃ বাবু হাওলাদার, মোঃ শওকতের ছেলে মোঃ শান্ত, তাপস মন্ডলের ছেলে ত্রিপন মন্ডল ও সাগরকে চিহ্ণিত করে অজ্ঞতনামা আরো ১৫জনকে আসামী দিয়ে মোংলা থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। তবে ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখনও কোন আসামীকে গ্রেফতার বা মামলাটি তথিভুক্ত করেনী পুলিশ। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেরাচ্ছে এবং ভুক্তভোগীকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ফলে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে অসহায় এ পরিবারের সদস্যরা।
অভিযুক্ত বাবু হাওলাদারের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নী।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বালুর মাঠ এলাকার একটি পুকুর নিয়ে দুই পক্ষের দন্ধে মারামারীর একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। থানার একজন অফিসারকে তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে, অভিযানও চলছে। অচিরেই আসামীদের গ্রেফতার করে সাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস পুলিশের এ কর্মকর্তার।
Leave a Reply