নিজস্ব প্রতিবেদক : ফুল হলো পবিত্রতা ও শুদ্ধতার প্রতীক। যুগ যুগ ধরে মানবসভ্যতায় ফুলকে দেখা হয় ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে। ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা চিরন্তন। ‘ফুল’ শব্দটির মাঝেই লুকিয়ে আছে ভালো লাগার পরশ, অমেয় প্রেমভক্তি। ফুলকে ভালো লাগার মাঝেই যেন লুকানো আছে মন ভালো হওয়ার কোনো এক অজানা মন্ত্র। সেবা নিতে আসা মানুষের মনকে প্রফুল্ল করতে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে ফুলের বাগান করে দৃষ্টিনন্দন ও মনমুগ্ধকর এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আসাদুজ্জামান। যা নজর কাড়ছে উপজেলা পরিষদে আসা সেবাগ্রহীতাদের। উপজেলা পরিষদ এলাকার ¯িœগ্ধময় পরিবেশ দেখে মনে হবে এটা কোন পরিষদ নয়, এটা একটি নৈশ্বর্গিক ¯’ান। ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতে প্রকৃতি যখন আপন সাজে সজ্জিত হয় তখন উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের বাগানে উকি দেয় ডালিয়া, গাঁদা, চন্দ্র মল্লিকা, গোলাপ সহ দেশি বিদেশী বিভিন্ন জাতের বাহারী ফুল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের পর উপজেলা পরিষদের পরিবেশ ও সেবার মান বেড়েছে কয়েক গুণ। জনবান্ধব নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন বেশ। উপজেলায় সেবা নিতে আসা ইখড়ি এলাকার বাদশা শেখ বলেন, ‘উপজেলায় পরিষদের সামনে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। উপজেলা চত্ত্বরে ফুলের বাগান করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই। ’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ফুলের সৌন্দর্য মানুষকে পবিত্র হতে প্রেরণা জোগায়। ফুল দেখলে যে কারও মন ভালো হয়ে যায়। উপজেলার দপ্তরগুলোতে সেবা নিতে আসা মানুষের মনকে প্রফুল্লœ করতেই আমার এ উদ্যোগ। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দপ্তরে সেবা প্রদানের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে যদি ফুলের বাগান থাকে তাহলে সেবা প্রত্যাশীদের মানসিকতাও একটি পজেটিভ ম্যাসেজ যায়। উপজেলার সামনে বাগান করার উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।’
Leave a Reply