রূপসায় মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ লুট ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Mahbub
1. ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ / ৫১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ লুট করা এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাজদিয়া গ্রামের পানু বিশ্বাসের পুত্র তুষার বিশ্বাস। ১৯ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১ টায় রূপসা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তুষার বিশ্বাস জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘাটভোগ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মৃত হাবি শেখের পুত্র মুজিবর শেখ, ফিরোজ হালদারের পুত্র পারভেজ হালদার এবং আলী শিকদারের পুত্র আশিকুর সিকদার চাঁদপুর গ্রামে অবস্থিত ৩টি মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ লুট করে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ টাকা। যাদের ঘেরের মাছ লুট করেছে তারা হলেন আমিসহ পিঠাভোগ গ্রামের মৃত মতিলাল পালের পুত্র চিত্ত পাল এবং কাজদিয়া গ্রামের ইসরাইল খানের পুত্র জিয়া খান। ঘটনার সময় জিয়া খান মুজিবর শেখকে ধরে ফেলেন।

পরবর্তীতে ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আজিজুল ইসলাম নন্দুর উপস্থিতিতে একটি সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশি বৈঠকে ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ লুটের ঘটনার সাথে মুজিবর শেখ তার সাথে থাকা দুই সহযোগী পারভেজ হালদার ও আশিকুর শিকদার এর জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে। সে সময় উক্ত দুই যুবকসহ তাদের পিতাদের শালিশী বৈঠকে আনা হয়। এ সময় ৩ যুবক সকল ঘটনা স্বীকার করে উপস্থিত জনতার সামনে ক্ষমা প্রার্থনাসহ ক্ষতিপুরণ প্রদানের অঙ্গিকার করে।

কিন্তু উক্ত দুষ্কৃতকারীরা এলাকার প্রভাবশালী চোর সিন্ডিকেটের নির্দেশে ক্ষতি পূরণের টাকা প্রদান না করে পারভেজ হালদারের পিতা ফিরোজ হালদার বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আমলী আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন জিয়া খান, পিতা-ইসমাইল খান, কাজদিয়া, শরীফ শেখ, পিতা-শহীদ শেখ, সাজ্জাদ সেখ, পিতা-শহীদ শেখ, আসিফ শেখ, পিতা-আকবর শেখ, জিহাদ হালদার, পিতা-রহিম হালদার, বাইজিদ হালদার, পিতা-ইউসুফ হালদার সর্ব সাং নারিকেলী চাঁদপুর ।
তিনি আরো জানান, চোর সিন্ডিকেটের হোতারা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পর স্থানীয় চেয়ারম্যান আবারও তাদেরকে ডেকে আনেন তার পরিষদে।

এসময় মামলা করা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে তা তুলে আনার ব্যাপারে অঙ্গিকার করে। এর দু’দিন পর উক্ত চোর সিন্ডিকেটের হোতাদের নির্দেশে ফিরোজ হালদার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং পরবর্তীতে রূপসা থানায় আরও একটি লিখিত অভিযোগ করে। লিখিত অভিযোগে ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম নন্দু, বিএনপি নেতা জাহান আলী শেখ, কাজদিয়া গ্রামের সমাজসেবক আজিবুল্লাহ শেখসহ ১৫/১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, উক্ত চোর সিন্ডিকেটের হোতাদের নির্দেশে ইতিপূর্বে উক্ত চোরেরা উক্ত এলাকা থেকে ১২টি স্যালো মেশিন, ৪টি স্যালো মোটর এবং একাধিক সোলার ব্যাটারী চুরি করে। যার যথেষ্ট দৃষ্টান্ত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিরীহ জনসাধারণ প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে নারী নির্যাতনসহ নানাবিধ মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়। মিথ্যা মামলা দু’টি বিষয়ে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জাহান আলী শেখ, শরীফ শেখ, জিয়া খান, বাইজিদ হালদার, সাজ্জাদ শেখ, আসিফ শেখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন :