শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
রূপসা প্রতিনিধি : রূপসা থানার এস আই মুজাহিদ কর্তৃক বিভিন্ন সময় মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নেওয়া ও আরো টাকা দাবির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার নৈহাটি গ্রামের বাসিন্দা অসহায় ঝাল মুড়ি বিক্রেতা তানজিলা বেগম আজ ২৮ এপ্রিল বিকালে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এর আগে ২৭ এপ্রিল তিনি এ ব্যাপারে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী তানজিলা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বোন হাজেরা আক্তার নিশি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা মোঃ নজরুল ইসলাম জীবিত থাকাকালীন সময়ে আমাদের বসত ভিটা ভাই বোনদের মধ্যে লিখিত ভাবে বন্টন করে দেয়। উক্ত বন্টন অনুযায়ী আমি আমার পিতার জমিতে বসত বাড়ী নির্মান করি। সেই সময় নেশাগ্রস্থ আমার ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম আমার মাকে সাথে নিয়ে আমার পিতা ও আমার নামে রূপসা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে উল্লেখ করে আমার বোনরা কেন পিতার ভিটা বাড়ীর সম্পত্তি পাব এবং বসত ঘর কেনো নির্মান করছি। উক্ত অভিযোগের তদন্তে এস আই মুজাহিদ এসে সেই সময় আমার নির্মানাধীন বসত ঘরের কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে এস আই মুজাহিদ আমার নিকট থেকে নগদ তিন হাজার টাকা নিয়ে বসাবসি করে কাজ করার অনুমতি দেয়। আমার পিতার মৃত্যুর পর আমার নেশাগ্রস্থ ছোট ভাই গত ইং ০২/০৪/২০২৫ তারিখ আনুমানিক বিকাল ৩ টার সময় আমার বসত ঘরে গালিগালাজ করতে করতে হাতে একটি ছুরি নিয়ে আমাকে মারতে আসে। সে সময় আমার স্বামী দৌড়ে এসে তার হাত ধরেফেলে সে সময় মনিরুলের হাতে থাকা ছুরিতে উভয়ের হাত সামান্য কেটে যায়। আমার ছোট ভাই এস আই মুজাহিদের সাথে আলোচনা করে আমার নামে রূপসা থানায় আরো একটি অভিযোগ করে। একই ঘটনায় আমিও রূপসা থানায় একটি অভিযোগ করি। অভিযোগের পরবর্তীতে এস আই মুজাহিদ আমার নামে মামলা করবে বলে হুমকি দেয় এবং আমার নিকট ৭ হাজার টাকা দাবি করে। আমি তাকে ২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করলে সে আমাকে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে এবং মানষিকভাবে হেনেস্তা করায় আমি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ি। বর্তমানে আমি ৭ মাসের অন্তসত্বা। এস আই মুজাহিদ বিভিন্ন সময় আমাকে সন্ধ্যার পরে নির্জন স্থানে ডাকে। ইতমধ্যে আমার কাছ থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা গ্রহন করেছে এবং ৭ হাজার টাকার জন্য বার বার চাপ প্রয়োগ করছে।
এ ব্যাপারে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ উক্ত এস আই মুজাহিদকে অন্যত্র বদলির দাবি জানান।এ ব্যাপারে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান উক্ত মহিলা আমার নিকট কোন অভিযোগ নিয়ে কখনো আসেনি। তারপরও যদি এস, আই বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত-পূর্বক দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।