নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনার মধ্য দিয়ে ১৪৩তম খুলনা দিবস পালিত হয়েছে। ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলার জন্মদিন উপলক্ষে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রহ সমন্বয় কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন জন্মদিনের উৎসব পালন করেছে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রহ সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কাটেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
উপস্থিত ছিলেন- উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শেখ মো. আশরাফ উজ জামান, কেসিসির প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মিনা আজিজুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসাসহ অন্যান্য নাগরিক নেতারা।
খুলনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, খুলনা নামকরণের উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত মতগুলো হচ্ছে- ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুলনার নামে নির্মিত ‘খুলনেশ্বরী মন্দির’ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি। ১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার করা রেকর্ডে লিখিত ঈঁষহবধ শব্দ থেকে খুলনা। অনেক বিজ্ঞজনের মতে ‘কিসমত খুলনা’ মৌজা থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে। ব্রিটিশ আমলের মানচিত্রে লিখিত ঔবংংড়ৎব-ঈঁষহধ শব্দ থেকে খুলনা এসেছে বলেও অনেকের ধারণা।
১৮৪২ সালে ভৈরব-রূপসা বিধৌত পুণ্যভূমি নয়াবাদ থানা ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নতুন জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় খুলনায়। খুলনা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি এবং ভৌগোলিক অবস্থার কারণে খুলনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে ৪ হাজার ৬৩০ বর্গমাইল এলাকা, ৪৩ হাজার ৫০০ জনসংখ্যা অধ্যুষিত খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
আর সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী খুলনার ১৪৩তম জন্মদিন আজ। এর আগে খুলনা ছিল যশোর জেলার মহকুমা। ব্রিটিশ শাসক ডাব্লিউ এম ক্লে খুলনা জেলার প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
Leave a Reply